বাংলায় নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ
কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের (Containment Zone) সংখ্যা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। তবে রাজ্যের করোনা গ্রাফ স্বস্তি জোগাচ্ছে। কারণ, গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই কমল দৈনিক এবং মৃত্যু। বেশ কিছুটা বাড়ল সুস্থতার হারও। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সুস্থতার হারই সকলকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৭১ জন। যা রবিবারের তুলনায় অনেকটাই কম। রাজ্যের সার্বিক গ্রাফ খানিকটা চিন্তা কমাচ্ছে। তবে তিলোত্তমায় রোখা যাচ্ছে না করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। ধারা বজায় রেখে ফের শীর্ষে কলকাতা। একদিনে এখানে ৭৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফের বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। রবিবারই কলকাতার তিনটি এলাকা বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ ও গড়িয়ার একাংশকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সেই তালিকায় জুড়ল ভবানীপুরের বহুতল। কলকাতার পরেই আক্রান্তের নিরিখে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানেও যেন বাগে আনা যাচ্ছে না আক্রান্তের গ্রাফ। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৮৪ জন।
বাংলায় কমেছে দৈনিক মৃত্যু। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। যা রবিবারের পরিসংখ্যানের তুলনায় কিছুটা কম। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার বলি মোট ৮ হাজার ৪২৪ জন। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে সকলকে স্বস্তি জোগাচ্ছে রাজ্যের সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৩০ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশ কিছুটা বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৬২ জন করোনাকে জয় করেছেন। রাজ্যের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৩.২৩ শতাংশ।
এখনও ভ্যাকসিনের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন বিশ্ববাসী। আশার আলো জাগিয়ে আগামী বুধবার বিকেল চারটেয় করোনার টিকা নেবেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তবে এখনও পর্যন্ত ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলার হাতিয়ার একমাত্র পরীক্ষা। তাই যত সম্ভব পরীক্ষা বাড়ানোর দিকে নজর কেন্দ্র ও রাজ্যের। এই পরিস্থিতিতে একদিনে কোভিড টেস্ট হয়েছে ৩৮ হাজার ১৭৮ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৮ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যার মধ্যে ৮.২৩ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শীতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাই এই সময়ে আরও বেশি সাবধানে থাকার বার্তাই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।