বাঙালি-অবাঙালি বিভেদের চেষ্টা দিলীপের, মোক্ষম জবাব কল্যাণের
বাংলার বিকাশে বাঙালির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বাংলার বাইরের লোকেদের। চাঞ্চল্যকর মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। ‘বাংলায় যাঁরা থাকবেন তাঁরা সকলেই বাঙালি,’ পাল্টা শাসক দল।
এদিন সকালে চায়ে পে চর্চায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ (Dilip Ghosh) জানান, বহু বছর ধরে বাইরে থেকে মানুষ বাংলায় এসেছেন কাজের সন্ধানে। তিনি বলেন, আজ নয়, ২০০ বছর আগে থেকে, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই বাইরে থেকে মানুষ বাংলায় আসতেন কাজ-ব্যবসা করতে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, গঙ্গাপাড়ে যত কল-কারখানা আছে, সেখানে বেশিরভাগই বাইরের রাজ্য থেকে এসেছেন। এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ। বলেন, বাংলার উন্নয়নে বাঙালিদের তুলনায় অবাঙালিদের ভূমিকা বেশি।
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ। তাঁর প্রশ্ন, “টাঙা-রিক্সা কারা চালাচ্ছেন? আজ ওরা বাইরের? কটাক্ষের সুরে দিলীপ বলেন, বিহার থেকে এরাজ্যে কাজের জন্য আসা মানুষরা বাইরের, আর শাহরুখ খান, প্রশান্ত কিশোর নিজের লোক!”
দিলীপের এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড়। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেনি শাসক শিবির। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় যাঁরা থাকবেন তাঁরাই বাঙালি।
তিনি মনে করিয়ে দেন, বিভাজনের রাজনীতি করে লাভ হবে না। বাইরে থেকে এসে যারা প্রচার চালাচ্ছে তাঁরা আসলে বহিরাগত। পাল্টা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
দিলীপকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম (CPM) নেতা শমীক লাহিড়ীও। তিনি বলেন, এরা জাত-ধর্ম-ভাষার ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করে থাকে। মানুষের খাবারের কী হবে, কৃষকের কী হবে, বেকার যুবকদের কী হবে, চাকরির কী হবে — এসব নিয়ে কোনও কথা বলে না। এদের একমাত্র কাজ হল জাতি-ভাষা-ধর্ম নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা।
দিলীপ সম্পর্কে তিনি বলেন, উনি (দিলীপ) তো বাংলার ভূগোল-ইতিহাস কিছুই জানেন না। ৫ বছর আগেও কেউ চিনত না। তৃণমূলকে ধরে বিধায়ক হলেন। বিজ্ঞাপন দিয়ে নেতা হয়েছেন।