কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ থেকে নিউটাউনে
নিউটাউন (New Town) পাচ্ছে তার কফি হাউজ (Coffee House)। কলকাতার কফি হাউজকে যেমন ঘিরে রেখেছে বইপাড়া, নিউটাউনের কফি হাউজকে তেমন ঘিরে রেখেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কফির কাপ হাতে উল্টেপাল্টে দেখা যাবে বইপত্তরও। আজই উদ্বোধন ঐ কফি কাউজের।
কলেজ স্টিট্রের কফি হাউজ যে কত বিশিষ্টজনের স্মৃতিস্পর্শিত, তা গুণে বলা মুশকিল। আর এই আড্ডাখানা নিয়ে কতই না গল্প ছড়িয়ে রয়েছে। কফি হাইজ ছাড়া বইপাড়ার কথা ভাবা যায় না। দিনভর সেখানে শিল্পী-সাহিত্যিক এবং তার গুণমুগ্ধদের ভিড়।
বলা যেতে পারে এবার ওই একই আবহ নিউটাউনেও আসতে চলেছে। ওই উপনগরী পেতে চলেছে তার নিজের কফি হাউজ। এটি কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজের ধাঁচে সাজানো হয়েছে। সেই উঁচু সিলিং, পাখা। থাকবে ব্য়লকনি। সিঁড়িও একই রকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যেন কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজ এখানে উঠে এসেছে। তবে বাতানুকূল ব্য়বস্থাও রয়েছে।
এটা চালাবে ‘কাফে একান্তে’। এমনই ঠিক করা হয়েছে। সেটি গড়ে উঠেছে নিউটাউনের শিক্ষা হাবে। এই হাবে রয়েছে অনেকগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ চলেছে। এর মধ্যে অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে হাজার ছয়েক পড়ুয়া রয়েছেন। সামান্য দূরেই আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়। সেখানে অনেক দিন ধরেই পঠনপাঠনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশেই রয়েছে নারায়ণা স্কুল।
সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়কে জমির প্লট দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের লেখাপড়ার কাজ শুরু হবে। এর পাশাপাশি ইন্সটিটিউট এফ কোম্পানি সেক্রেটারিজ এবং আরও একটি আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও জমি দেওয়া হয়েছে।
বছর খানেক আগে গড়ে তোলা হয়েছে নিউটাউন লাইব্রেরি। ঠিক করা হয়েছে কফি হাউজে ওই লাইব্রেরি কিছু বই রাখা হবে। আপাতত সেখানে বসেই দিব্যি বই পড়ার ব্যবস্থা থাকছে। এখন কফি হাউজ থেকে বই নিয়ে যাওয়া যাবে না। তবে হিডকো কর্তাদের পরিকল্পনা রয়েছে পরে সেখান থেকে বই নিয়েও যাওয়া যাবে। এখন সেখানে আসন রয়েছে ৭৫টি।