টুইট বিতর্কের জের, কঙ্গনার বিরুদ্ধে ফের আইনি নোটিস, জমা পড়ল পিটিশনও
বিতর্ক যেন আর পিছু ছাড়ছে না কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut)। কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত টুইটের পর থেকে বলিউড অভিনেত্রীকে পড়তে হয়েছে কড়া সমালোচনার মুখে। এবার দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্য আইনি নোটিস পাঠালেন তাঁকে। পাশাপাশি কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট উড়িয়ে দেওয়ার দাবিতে জমা পড়ল পিটিশনও। এর পাশাপাশি বলিউড অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের (Diljit Dosanjh) সঙ্গে লাগাতার টুইট যুদ্ধ তো রয়েইছে। সব মিলিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’।
বিতর্কের সূত্রপাত কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়া এক বৃদ্ধাকে ‘শাহিনবাগের দাদি’ বিলকিস বানোর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা ও তাঁর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পরই। কঙ্গনা কটাক্ষ করে লিখেছিলেন, ‘এঁকে তো ১০০ টাকার বিনিময়েই পাওয়া যায়।’ এরপর থেকেই নেটিজেনদের অনেকেই ফুঁসে ওঠেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে। যে মহিলাকে কঙ্গনা বিলকিস বানো বলে ভুল করেছিলেন, তাঁর আসল নাম মহিন্দর কউর। তিনিও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। বুধবার সেই দলে যোগ দেন দিলজিৎও।
এদিকে আগেই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী হরকম সিং। এবার নোটিস পাঠালেন শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্যও । তাঁর ‘ভ্যারিফায়েড’ টুইটার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলার দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জমা পড়েছে পিটিশন। অভিযোগ, এরই মাধ্যমে লাগাতার ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। পিটিশনটির উত্তরে কঙ্গনা জানিয়েছেন, মতামত জানানোর জন্য টুইটারই তাঁর একমাত্র প্ল্যাটফর্ম নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর দিলজিতের সঙ্গে লাগাতার টুইট যুদ্ধ চলে তাঁর। মহিন্দর কউরকে বিলকিস বানোর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে তাঁকে ‘ভুয়ো’ বলেছিলেন কঙ্গনা। দিলজিৎ তাঁকে আক্রমণ করে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘এতটা অন্ধ হলেন কী করে?’’ পালটা কঙ্গনা তাঁকে ‘করণ জোহরের পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন। দিলজিৎও সুর চড়িয়ে জানতে চান, যাঁদের সঙ্গে কঙ্গনা কাজ করেছেন, তিনিও তাঁদের সকলের পোষ্য কিনা। কঙ্গনাও উত্তপ্ত জবাবে দিলজিৎকে ‘তোষামোদকারী’ বলে রীতিমতো কটু ভাষায় আক্রমণ করেন। সারা রাত ধরেই চলতে থাকে বাকযুদ্ধ।
দিলজিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন বক্সার বিজেন্দর সিং, গায়ক ও সুরকার মিকা সিংয়ের মতো তারকারাও। মিকা টুইট করে লেখেন, কঙ্গনার অফিস ভাঙার সময় তিনি বলিউড অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর মনে হচ্ছে তিনি ভুল করেছেন। একজন মহিলা হয়েও যেভাবে কঙ্গনা একজন বৃদ্ধাকে অপমান করেছেন সেজন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি লেখেন, ‘‘শেম অন ইউ’’।