“দলে থেকে কী লাভ হচ্ছে?” – বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর
মতুয়াদের নাগরিকত্ব ইস্যুতে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তাঁর কথায়, “দল ছাড়া নিয়ে এখুনি কিছু ভাবছি না। সেটা করলে কী লাভ হবে। দলে থেকেও বা কী লাভ হচ্ছে? এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
মতুয়াদের নাগরিকত্ব (Citizenship) দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসির কারণে যে মতুয়ারা ক্ষুব্ধ, স্পষ্ট তাঁর কথায়। দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি বললেন, “আমরা আশা করেছিলাম কেন্দ্রীয় সরকার মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে। সেই দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় মতুয়াদের বিক্ষিপ্ত অবস্থানও তৈরি হচ্ছে। হয়তো বা কোভিডের জন্য সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এখন তো সেই সমস্যা নেই। এখন করাই যেতে পারে। তাই আমরা কেন্দ্রর ওপরে চাপ সৃষ্টি করছি। তাদের অনুরোধ করছি।”
তাহলে কেন্দ্রকে এই নাগরিকত্ব বাস্তবায়ন করতে কতদিন সময় দেবেন তিনি? শান্তনুর সাফ কথা, “এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। পরবর্তী পদক্ষেপ পরবর্তীতেই জানা যাবে।”
তাঁর আরও দাবি, মতুয়ারা বহুদিন ধরে রাজনীতির বলি হয়ে আসছেন। মৌখিক অনেক সদুত্তর পেয়েছি। এবার কাজে দেখতে চাই। আমরা এবার সেই লক্ষ্যেই চাপ সৃষ্টি করছি। তবে, ধর্ণা বা অনশনের কথা শান্তনু ঠাকুর ভাবছেন না। তাঁর লক্ষ্য, কেন্দ্রের কাছ থেকে নাগরিকত্ব আদায় করতে হবে।
বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, দলের সাথে শান্তনুর দূরত্ব তৈরি হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অন্য আরেকটি কারণ। রাজ্য বিজেপির অন্দরে অপর দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং সৌমিত্র খাঁয়ের উত্থানে বিচলিত তিনি। এই দুই সাংসদের সাথে ওঁর সম্পর্ক ভালো নয়। উপরন্তু, নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়ারা চাপ বাড়ানোর ফলে কিছুটা হলেও কোনঠাসা তিনি।
একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে মতুয়া ইস্যুতে কী নতুন সমীকরণ তৈরি হয়, সেই দিকেই নজর রাজ্যবাসীর।