মোদী-মমতাকে বিস্ফোরক চিঠিতে অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের
সুদীপ্ত সেনের বিস্ফোরক চিঠি। প্রসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে সারদা কর্তা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। ১ ডিসেম্বরে লেখা সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) এই চিঠি ইতিমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে।
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে মুকুল রায়ের নামে চার্জশিট সিআইডি-র
চিঠির মূল বিষয় – সারদা চিটফান্ডের ব্যবসা চালাতে গিয়ে কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে তাঁকে। সেখানে যেমন নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মুকুল রায়ের (Mukul Roy)। তেমনই সুদীপ্ত সেন চিঠিতে দাবি করেছেন, ‘সারদার টাকা’ গিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের পকেটেও। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে সারদা কর্তা লিখেছেন, চিটফান্ড চালানোর জন্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে (Biman Bose) তিনি ২ কোটি টাকা দিয়েছেন। ৯ কোটি টাকা দিয়েছেন বর্তমানে বিধানসভার বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে (Sujan Chakravarty)। সুদীপ্তর অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি সুদীপ্তর থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন সারদা কর্তা।
মুকুল রায়কে তিনি কত টাকা দিয়েছেন তা মনে করতে না পারলেও শুভেন্দুকে যে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, তা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সারদা কর্তা।
আরও পড়ুন: মমতার সভার সমর্থনে কাঁথিতে মিছিল, নেই অধিকারীরা
কারা দফতর সূত্রের খবর অনুযায়ী ১ তারিখ ওই চিঠি লিখেছেন সুদীপ্ত সেন। চিঠিতে তাঁর স্বাক্ষরও রয়েছে। সেই চিঠি জেল সুপার মারফৎ পৌঁছে গিয়েছে কারা দফতরের এডিজি-র কাছে। সেখান থেকে তা ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হয়েছে পত্রপ্রাপকদের ঠিকানায়। তবে এই চিঠির বয়ান সুদীপ্ত সেনের নিজেরই লেখা কিনা তা নিয়ে পরিষ্কার করে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, সুদীপ্তর এই চিঠির হাতের লেখা পরীক্ষা করবে সিবিআই। হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টের কাছে পাঠানো হবে সুদীপ্তর চিঠি।
প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, “সে তো নিজেই জেলে। আমি কোনও চোর চোরটার কথার উত্তর দিতে চাই না।” ‘হাস্যকর’ বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। উল্টে তাঁর বক্তব্য, “ভোটের আগে এতো ক্রাইসিস যে বিমান দা-কেও ছাড়ল না।”
অলঙ্করণ – অভীক দেবনাথ।