সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েও হল না বিজেপির শেষরক্ষা, হায়দ্রাবাদে জয়ী টিআরএস
হায়দরাবাদ পুরভোটে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না। উল্টে উল্কাসম গতিতে উত্থান হল গেরুয়া শিবিরের। শাসক টিআরএসের গড়ে ভালোমতোই থাবা বসাল বিজেপি। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে, ১৫০ আসনের হায়দরাবাদ কর্পোরেশনের ৪৮টি ওয়ার্ড তাদের দখলে গিয়েছে। যেখানে গত নির্বাচনে গৈরিক বাহিনী জিতেছিল মাত্র চারটি আসন। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিমকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে এল বিজেপি। ওয়াইসির দল পেয়েছে ৪৪টি আসন। তবে ৫৫টি আসন পেয়ে এবারও একক বৃহত্তম দল থাকল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। যদিও গতবারের থেকে আসন সংখ্যা এবার অনেকটাই কমে গিয়েছে তাদের। পরিস্থিতি এমনই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এবার তাদের অন্য দলের মুখাপেক্ষী হতেই হবে। টিআরএস নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে রামা রাও বলেই দিয়েছেন, এই ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা অন্তত ২০-২৫টি আসন কম পেয়েছি। বেশ কয়েকটা আসনে খুব কম ব্যবধানে হেরে গিয়েছি। এবার প্রথম থেকেই হায়দরাবাদে হাই-ভোল্টেজ প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি। এসেছিলেন একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। রাস্তা, নিকাশি, পানীয় জল নয়, প্রচারের ইস্যু ছিল মহম্মদ আলি জিন্না। ‘পাকিস্তানি’ খেদানোর নিদান। শহরের নাম বদলে ‘ভাগ্যনগর’ করার অঙ্গীকার। মেরুকরণের এই রাজনীতির ফল হাতেনাতে পেল গেরুয়া শিবির। এতদিন তারা প্রায় অস্তিত্বহীন ছিল দক্ষিণ ভারতের এই শহরে। এবার তারা গতবারের চেয়ে ১০ গুণের বেশি আসন পেয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে তেলেঙ্গানায় বিধানসভা ভোট। সম্প্রতি দুব্বাক বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনের জয় পেয়েছিল বিজেপি। এবার কর্পোরেশনের ফল তাদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিল। টিআরএসের হাতছাড়া হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ আসন। আর মাত্র দু’টি আসনে জিতে কংগ্রেস এবারও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকল।