‘দুয়ারে সরকার’-এ ব্যাপক সাড়া মানুষের, আরও শিবির তৈরির সিদ্ধান্ত নবান্নের
সরকারের দুয়ারে প্রায় ২১ লক্ষ মানুষ। মাত্র পাঁচ দিনেই। শিবিরে শিবিরে উপচে পড়ছে ভিড়। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখে এবার বাড়তি ক্যাম্প খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। করোনা পরিস্থিতিতে (Corona Situation) ভিড় এড়াতেই এই পদক্ষেপ। বাসিন্দাদের চাহিদা বুঝে এই বাড়তি শিবির গড়ার জন্য পুরসভাগুলি এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি, কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য এবং গ্রাম রোজগার সেবকদেরও এই কর্মসূচিতে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। থাকবেন বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও। তাঁরা আবেদনকারীদের ফর্ম ফিল-আপে সাহায্য করবেন।
শনিবার পর্যন্ত ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে চলা শিবিরগুলিতে এসেছেন ২১ লক্ষ ৯ হাজার ৭৩৮ জন। যার মধ্যে সর্বাধিক জনসমাগম হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন শিবিরে এসেছেন। আগতদের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ মোট আটটি জেলায়। স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) আবেদনপত্র পেতে যে তুমুল হিড়িক দেখা যাচ্ছে। ১২ লক্ষেরও বেশি এই প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছে। খাদ্যসাথী এবং ১০০ দিনের কাজেও সংখ্যাটা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখেই শিবির বাড়ানোর পথে হাঁটল সরকার। জেলাশাসকদের কাছে ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ চলে গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার প্রতিটি বরো অফিসেও হতে চলেছে ‘দুয়ারে সরকার’-এর ক্যাম্প। মোট ১৬টি বরো অফিস রয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বিভিন্ন শিবিরে যেভাবে ভিড় হচ্ছে, সেই চাপ কমাতেই এই পরিকল্পনা। এই বিষয়ে পুর কমিশনার বিনোদ কুমারকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পুর কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, প্রচণ্ড ভিড় দেখে অনেক নাগরিকই শিবিরগুলিতে আসার ব্যাপারে দোলাচলে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে, বরো অফিসের চার-পাঁচজন কর্মীকে বসানো হবে। তাঁরা যাতে বিভিন্ন ধরনের আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, একাধিক বরো অফিসে ফর্ম জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। এবার ১৬টি বরোতে সার্বিকভাবে তা চালু করছে পুর কর্তৃপক্ষ। তবে কোনওভাবেই এই কর্মসূচির দিন বাড়ানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সেই কারণেই এই বাড়তি শিবির। সেগুলিতে ইন্টারনেট সহ অন্যান্য পরিকাঠামো রাখা হবে। প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে প্রাপককেই আবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে।