দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দুয়ারে সরকারে কাকদ্বীপ প্রশাসনের নজির, মা ও শিশুদের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা

December 7, 2020 | < 1 min read

স্তন্যপান বা খাওয়ানোর জন্য বহু জায়গাতেই এখন মা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার সেই পরিষেবার দেখা মিলল ‘দুয়ারে সরকার’-এর ক্যাম্পে। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে দুটি ব্লকে আপাতত তাঁদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্তানকে খাওয়ার জন্য ইচ্ছে করলেই ওই ঘরে যেতে পারবেন মায়েরা। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি মা-মহল। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি দিনের আলো দেখামাত্র মানুষের ঢল নেমেছে শিবিরগুলিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ মানুষ বিভিন্ন শিবিরে গিয়েছেন বিভিন্ন কাজ নিয়ে। সেই ভিড়ে মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। অনেককেই লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, অনেক মা তাঁদের সন্তানদের কোলে নিয়েই চলে এসেছেন শিবিরে।

দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, কারওর বাচ্চা আবার খিদের জন্য কান্না জুড়ে দিয়েছে। তাঁদের জন্যই এই আলাদা ঘরের ব্যবস্থা। আপাতত এই পরিষেবা মিলছে কাকদ্বীপ এবং নামখানা ব্লকের দুটি স্কুলে। মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মহকুমায় বাকি দুটি ব্লকেও এই ব্যবস্থা করা হবে। মা ও শিশুদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেকথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কাকদ্বীপ ব্লকের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিখালি হেমচন্দ্র বিদ্যাপীঠে মা ও শিশুদের জন্য আলাদা ঘর করা হয়েছে। এই ঘরের নাম দেওয়া হয়েছে মা ও শিশুআলয়।  শুধু তাই নয়, ঘরের বাইরে রয়েছেন বাঘের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি। শিশুদের আনন্দ দিতেই এই ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা নামখানা ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  নারায়ণপুর বিদ্যামন্দিরেও করা হয়েছে।

‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়াই প্রশাসনের লক্ষ্য। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ঘোড়ামারা দ্বীপেও এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সরকারি আধিকারিকরা লঞ্চে করে সেখানে গিয়ে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন গ্রামবাসীদের

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kakdwip, #Duare Sarkar, #mothers and children

আরো দেখুন