রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

‘কৃষক বন্ধু’ তে স্বঘোষণা – উপকৃত হবেন ৭২ লক্ষ কৃষক

December 7, 2020 | 2 min read

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন যে এখন থেকে কৃষকরা স্বঘোষণার মাধ্যমেই ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে (Krishak Bandhu) নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এর ফলে রাজ্যের ৭২ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পে পরিবারে ১৮- ৬০ বৎসর বয়সী কোন সদস্যের মৃত্যুতে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১ হেক্টর বা বেশি জমির মালিকানাধারী কৃষকদের রবি এবং খারিফ শস্য চাষের জন্যে বছরে ৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠায় মিউটেশন শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় কৃষকদের একাংশকে আগে এই প্রকল্প থেকে বাদ দিতে হয়েছিল। রাজ্য সরকার তাই দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করেছে যাতে কৃষকদের এই জাতীয় সমস্যাগুলি সমাধান করতে সহায়তা করা যায় এবং তারা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত শনিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে কৃষকদের স্বঘোষণার মাধ্যমে এই প্রকল্পের আওতায় আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, যেসব কৃষকরা মিউটেশন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা স্বঘোষনার মাধ্যমেই এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। যখন দেশের সরকার কৃষক বিরুদ্ধনীতি গ্রহণের জন্যে সারা দেশে সমালোচিত তখন রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য কৃষকদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রদান করা।

পিএম কিষান যোজনায় (PM Kisan Yojana) প্রতি একর জমিতে আর্থিক সাহায্য ১২১৪ টাকা সেখানে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫,০০০ টাকা। রাজ্য সরকার সমস্ত কৃষক পরিবারকে এই সুবিধে দিচ্ছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে শুধুমাত্র ২ হেক্টর জমির মালিকরাই এই সুবিধে পাবেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে কৃষক বন্ধুর মতো কোন ‘ডেথ বেনিফিট’ নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#farmers, #Krishak Bandhu Scheme

আরো দেখুন