রবি মরশুমে ৫০ লক্ষ কৃষককে শস্যবিমা দেবে রাজ্য
খরিফ মরশুমে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে অংশগ্রহণে কৃষকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। আসন্ন রবি মরশুমে সেই ধারা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কৃষিদপ্তর। রবি মরশুমে অন্তত ৫০ লক্ষ কৃষককে শস্যবিমার অধীনে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। খরিফ মরশুমে এবার শস্যবিমা প্রকল্পে প্রায় ৬৭ লক্ষ কৃষক নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। খরিফের তুলনায় রবি মরশুমে চাষ হওয়া জমির পরিমাণ কম। খরিফ মরশুমে ৪০ লক্ষ হেক্টরের বেশি জমিতে চাষ হয়। সেখানে রবি চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ৩০ লক্ষ হেক্টর। রবি চাষের পুরো জমি যাতে শস্য বিমার আওতায় আসে তার চেষ্টা করছে কৃষিদপ্তর। গত রবি মরশুমে প্রায় ২৩ লক্ষ হেক্টর জমি শস্যবিমার আওতায় ছিল।
আসন্ন রবি মরশুমে রাজ্য সরকারের নিজস্ব বাংলা শস্যবিমা (Crop Insurance) প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। গতবারের মতো ১১টি ফসল—বোরো ধান, আলু, গম, ভুট্টা, ছোলা, মুসুর, মুগ, সরষে, তিল, বাদাম ও আখ বিমাভুক্ত থাকছে। খরিফ মরশুমে আমন ও আউস ধান, ভুট্টা ও পাট চাষে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে কৃষককে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। রবি চাষের ক্ষেত্রে শুধু আখ ও আলুর ক্ষেত্রে কৃষককে সামান্য প্রিমিয়াম দিতে হবে। বাকি ফসলের জন্য প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য দেয়। আলু ও আখের প্রিমিয়ামের প্রায় ৯৫ শতাংশ রাজ্য দিচ্ছে। আখ ও আলু চাষে ১ শতক জমির জন্য একজন কৃষক মাত্র ৩০ টাকার মতো প্রিমিয়ায় দেবেন। খরিফের ক্ষেত্রে চাষিকে সরাসরি বাংলা শস্য বিমার অধীনে আনা হয়েছিল। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) অধীন কৃষকরা সরাসরি বিমাভুক্ত হয়েছিলেন। আগের খরিফে যাঁরা বিমা করিয়েছিলেন তাঁদেরও এবার নতুন করে আবেদন করতে হয়নি। আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে শস্যবিমার সুযোগ দিতে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার সময়সীমা দু’দফায় বাড়ানো হয়।
রবি মরশুমের শস্যবিমায় অবশ্য এরকম সরাসরি অর্ন্তভুক্তকরণের ব্যবস্থা থাকছে না। রবিতে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের সুযোগ নিতে কৃষক আবেদন করবেন। পঞ্চায়েত অফিস মারফত তা করা যাবে। ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) মারফতও এই আবেদন জমা করা যাবে। আলুর জন্য আবেদন করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। সময়সীমা বাড়তেও পারে।