রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ – জমা পড়ল লক্ষাধিক আবেদন

December 7, 2020 | 2 min read

স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপে (Swami Vivekananda Scholarship) আবেদনের সংখ্যা ইতিমধ্যেই এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে প্রায় এক লক্ষ তিন হাজার। তবে, আবেদন আরও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন এর সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। কারণ, এবছর উচ্চ মাধ্যমিক থেকে গ্র্যাজুয়েশনে ঢালাও নম্বর উঠেছে। তাই আবেদনের সংখ্যাও অনেক বেশি হওয়ার কথা। আবেদন জমা দেওয়ার চূড়ান্ত কোনও সময়সীমা দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট পোর্টাল থেকেই অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে ভর্তি এখনও চলছে। তাই পোর্টাল খোলা রাখতেই হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৭,০৯৮ জন স্কুলপড়ুয়া, ৭০,৩২৫ জন সাধারণ ডিগ্রি (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) কোর্সের পড়ুয়া, ১,৬২৭ জন পলিটেকনিক পড়ুয়া এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২,৫৩১ জন পড়ুয়া এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছেন। এর পাশাপাশি রয়েছেন ২৮৫ জন কন্যাশ্রী ৩ (কে-৩) সুবিধাভোগী যাঁরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছেন। উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতকস্তর (জেনারেল ডিগ্রি)-এ এই স্কলারশিপের সুবিধা পেতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। স্নাতকোত্তর স্তরের ক্ষেত্রে যোগ্যতামান স্নাতকে ৫৩ শতাংশ প্রাপ্ত নম্বর। স্নাতক স্তরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও উচ্চ মাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ এবং স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে স্নাতকে ৫৩ শতাংশ নম্বর পাওয়া আবশ্যিক। পলিটেকনিক বা মেডিক্যালের ক্ষেত্রেও দ্বাদশে ৭৫ শতাংশ ন্যূনতম নম্বর থাকতে হবে। পারিবারিক আয় বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে থাকলে আবেদন করা যাবে। তবে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের অধীন ছাত্রীদের ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমাও থাকছে না। এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে লকডাউনের জন্য বাতিল পরীক্ষাগুলির নম্বর ধার্য হয়েছে। তাই নম্বরও প্রচুর উঠেছে। আর স্নাতকের পরীক্ষা বাড়ি থেকেই দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। মূল্যায়নও হয়েছে নিজের কলেজে। তাই সেখানেও ছবিটা এক। তাই বৈধ আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার বাজেট অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে শিক্ষাদপ্তর (Education Department)। অন্যান্য খাত থেকে অর্থের বন্দোবস্ত করার কথাও তারা ভাবছে। প্রসঙ্গত, গতবছর এই খাতে সরকারের খরচ হয়েছিল প্রায় ২৩০ কোটি। বৃত্তি পেয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার জন। এবছর এখনও স্নাতক, স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ভর্তি চলছে মেডিক্যালেও। পলিটেকনিকেও আবেদনকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে। শেষ পর্যায়ে স্কুলপড়ুয়াদের আবেদনও অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।

২০১১ সালে এই স্কলারশিপ চালু করার পর ধাপে ধাপে এই খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েই গিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথম বছর সুবিধাভোগীরা মাথাপিছু বার্ষিক ৬,০০০ টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা বার্ষিক বৃত্তি পেয়েছেন। সেটাই ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে মাথাপিছু বার্ষিক ১২,০০০ টাকা থেকে ৯৬ হাজার টাকা। এখনও পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০০ ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দেওয়ার জন্য ৮৩৬ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Swami Vivekananda Scholarship

আরো দেখুন