কাল ভারত বনধ, দিল্লি অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারি কৃষকদের
‘তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবির সঙ্গে কোনও আপস নয়। ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের দিন দিল্লি প্রবেশের সমস্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিকেল ৩টে পর্যন্ত কোনও গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না।’ রবিবার চ্যালেঞ্জের সুরে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকেরা। তবে একইসঙ্গে এও জানিয়েছেন, ‘চাক্কা জ্যাম করা হলেও অ্যাম্বুলেন্স এবং বিয়েবাড়ির গাড়ির যাত্রাপথে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা হবে না।’ পাশাপাশি এদিন বিক্ষোভরত কৃষকরা (Farmers) জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার ভারত বনধের দিনে দেশজুড়ে সমস্ত দুধের দোকান এবং মুদিখানা বন্ধ থাকবে।’ অর্থাৎ, ইঙ্গিত স্পষ্ট। প্রতিদিনের জীবনে সাধারণ মানুষের যে দ্রব্যগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, সেই সংক্রান্ত দোকানগুলিও বন্ধ রাখা হবে। মঙ্গলবারের কর্মসূচি কেন্দ্র করে পুলিস-প্রশাসন অশান্তির আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না। যদিও বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভারত-বনধ কর্মসূচিতে শামিল হবেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত কৃষকরা সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে সমস্ত জাতীয় সড়কের টোল প্লাজা অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে ওইদিন সরকার কোনওভাবেই টোল আদায় করতে না পারে। ৮ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে রবিবার দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় দফায় দফায় বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। তাঁরা স্পষ্ট জানান, দাবি একটিই। তিনটি কৃষি আইনকে (Farm Laws) প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং এই দাবি সম্পূর্ণ আপসহীন। তাঁদের শক্তি কতটা, তার প্রমাণ মিলবে আগামীকাল, মঙ্গলবারই। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, ‘কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের সুবিধে করে দিতেই একের পর এক বৈঠক ডাকছে কেন্দ্র। সরকার চাষিদের সমস্যা খতিয়েই দেখছে না।’ এদিন নয়ডা থেকে মিছিল করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় বিক্ষোভকারীদের একটি দল। যদিও তাদের পথেই আটকে দিয়েছে পুলিস। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘তাঁদের কর্মসূচিতে শামিল হতে গুজরাত থেকে ২৫০ জন কৃষকের একটি দল দিল্লি আসছে।’