ক্লান্তি কাটাতে ঘুরে আসুন সুন্দরগ্রাম
কলকাতা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে রাজেন্দ্রপুরের সুন্দরগ্রাম সব অর্থেই ‘সুন্দর’। শহুরে জীবনের সব ক্লেদ-ক্লান্তি কাটাতে হাতে দু’দিন সময় নিয়ে বেড়িয়ে আসুন দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই গ্রাম থেকে। ছোটবেলায় আঁকার খাতায় রং-পেন্সিলে ঠিক যে রকম গ্রামের ছবি ফুটে উঠত, এ যেন ঠিক সেই রকম। সুন্দরগ্রামে মাটির কুঁড়েঘরে থাকলে গামছায় মাছ ধরা থেকে শুরু করে খেজুর রস বার করা— চাক্ষুষ করতে পারবেন সবই। শুধু চাই হাতে একদিন সময়।
পাখি দেখা যদি আপনার নেশা হয়, তবে সুন্দরগ্রাম আদর্শ জায়গা। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বেরোলে কত রকমের যে পাখির ডাক শোনা যায়, তার ইয়ত্তা নেই! প্রচুর হাঁসও দেখতে পাবেন এখানে। ধানক্ষেতের আল বেয়ে পৌঁছে যান গ্রামের একেবারে ভিতরে। ধানের পাশাপাশি সরষের ক্ষেতেও নেমে পড়তে পারেন। ছবি তোলার শখ থাকলে তো কথাই নেই। পুকুরে স্নান করা থেকে মাছ ধরা— সব রকমের অভিজ্ঞতা সঙ্গে করে ফিরবেন এখান থেকে।
সুন্দরগ্রামের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই বিদ্যাধরী নদী। প্যাডেল বোট নয়, নদীতে ঘুরতে হবে নৌকায়। পাশেই মালঞ্চ গ্রাম একেবারে মাছের আড়ত। তাজা মাছ দরদাম করে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে কিনে আনতে পারেন। সন্ধেবেলা হোটেলে ভেজে দেবে গরম গরম। এখানে সন্ধে নামে ঝুপ করে। আর আলো ফুরিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ কিছু করার থাকেও না। নিজেরা বনফায়ারের আয়োজন করে জমিয়ে গান ধরুন।
কীভাবে যাবেন
গাড়িতে গেলে সায়েন্স সিটি থেকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে নিন। মালঞ্চ পৌঁছনোর ঠিক আগে ডান দিকে বেঁকে যান। যদি বাসে যেতে চান, কলকাতা থেকে মালঞ্চগামী যে কোনও বাসে উঠলেই রাজেন্দ্রপুর নিয়ে যাবে আপনাকে। সায়েন্স সিটি থেকে বাসে ওঠার পর বেশি জ্যাম না থাকলে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পৌঁছে যাবেন রাজেন্দ্রপুরের সুন্দরগ্রাম।
কোথায় থাকবেন
সুন্দরগ্রামের ইকো-ভিলেজে ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘরে থাকার বন্দোবস্ত ভালই। এসি, নন-এসি দু’রকমের ঘরই আছে। এখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। চাইলে উনুনে রান্না করা খাবার অর্ডার করতে পারেন। এখানে ড্রাইভারের থাকার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। সুন্দরগ্রামের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে অগ্রিম বুকিং করতে পারবেন।