কেন্দ্রের পিএম কিষানের থেকে অনেক ভালো রাজ্যের ‘কৃষকবন্ধু’ – মন্তব্য তৃণমূলের
কেন্দ্রের পিএম কিষান নিধি প্রকল্প রাজ্যে চালু করার দাবিতে সরব বিজেপি। কিন্তু মমতা সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প তার চেয়ে অনেক ভালো বলে জানিয়ে আসছে তৃণমূল। এবার দুই প্রকল্পের তুল্যমূল্য বিচার করে ‘কৃষকবন্ধু’ (Krishak Bandhu) কেন ভালো তার হিসেব দিল জোড়াফুল শিবির।
এই দুই প্রকল্প নিয়ে একটি টেবিল প্রকাশ করেছে তৃণমূল (Trinamool)। সেখানে দুটি প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবে, প্রিমিয়াম কারা দেবে, বাড়তি সুবিধা কি আছে – এসবের তুলনা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার সমস্ত কৃষক। উল্টো দিকে পিএম কিষান নিধি প্রকল্পের সুবিধে পাবেন কেবল ছোট ও মাঝারি কৃষকরা। সমস্ত কৃষককে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি।
‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ইনসিওরেন্স প্রিমিয়াম পুরোটাই দেবে রাজ্য সরকার। পিএম কিষানে (PM Kisan) কেন্দ্র দেবে না। কৃষককেই প্রিমিয়াম দিতে হবে। রাজ্য ১০০ শতাংশ কভারেজ দিলেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ৯২ শতাংশ কভারেজ পাচ্ছেন কৃষকরা।
এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশাপাশি কৃষিশ্রমিকদেরও ফসল সহায়তার পরিমাণ ছাড়াও ফ্যামিলি ইন্সিওরেন্স পলিসি – সরবরাহ করবে। বীমাকৃত কৃষকের মৃত্যু হলে ২ লাখ পর্যন্ত টাকা পাবেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মোদী সরকারের প্রকল্পে সেরকম কোনও সুবিধে কৃষক বা তাঁর পরিবার পাচ্ছেন না।
রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উল্টোদিকে প্রথম ইনস্টলমেন্ট ১০.৩ কোটি কৃষক পেলেও পঞ্চম ইনস্টলমেন্টের সুবিধা পেয়েছেন মাত্র ৬.৫ কোটি কৃষক। অর্থাৎ কেন্দ্রের প্রকল্পে এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বাংলায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৯৪ শতাংশ কৃষক এই ইনস্টলমেন্টের সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রের প্রকল্পে ইনস্টলমেন্টের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ৪৮ শতাংশ কৃষক।
প্রসঙ্গত, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষক বা খেতমজুরের হঠাৎ মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করে মমতা সরকার। পাশাপাশি, প্রতি একর জমি চাষের জন্য দু’দফায় বছরে মোট পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয় কৃষকদের। কারও জমির পরিমাণ এক একরের কম হলে তুলনামূলক হিসেব করে অর্থ সাহায্য করে রাজ্য।