দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কাউকে উদ্বাস্তু বলে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবে না, বিজেপিকে তোপ মমতার

December 9, 2020 | 2 min read

মেদিনীপুর আর রাণীগঞ্জের পর আজ বনগাঁর ঠাকুরনগরে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( (Mamata Banerjee) । লোকসভা ভোটে বনগাঁয় (Bongaon) আশানুরূপ ফল করেনি তৃণমূলের (Trinamool)। তাই, একুশের ভোটের আগে এই জনসভার দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। প্রত্যাশা মতই নাগরিকত্ব (Citizenship) ইস্যুতে বিজেপিকে এক হাত নেন নেত্রী। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটিও ঘোষণা করেন তিনি।

মমতা বলেন, অনেকেই হয়তো জানেন না, তিরিশ বছর ধরে বড়মার চিকিৎসা আমিই করিয়েছি। বড়মা যখনই অসুস্থ হয়ে পড়তেন আমি বালুকে বলতাম, ওঁকে কলকাতায় নিয়ে এসো।

তাঁর দাবি, বাগদি ভাইবোনদের জন্য আমরা বোর্ড করেছি, বাউড়ি সম্প্রদায়ের জন্যও করেছি। মতুয়া (Matua) ডেভেলপমেন্ট কমিটি করেছি। ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আপনারা নিজেরা বসে কমিটি ঠিক করে দিন। টাকা ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এটা আপনাদের দাবি ছিল, মেনে নেওয়া হল। হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাঠ্যপুস্তকে হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনী পড়ানো হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর আরও ঘোষণা, জাতি শংসাপত্র পেতে গেলে আগে এক বছর, দু’বছর, পাঁচ বছর সময় লাগত। এখন সরকার নিয়ম করে দিয়েছে। বাড়িতে যদি একজন সদস্য থাকেন, যিনি জন্মসূত্রে কোনও নির্দিষ্ট জাতির, তা হলে সাত দিনের মধ্যে কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।

নাগরিকত্ব (CAA) ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য, এখানে অনেক উদ্বাস্তু মানুষ রয়েছেন। আমরা আপনাদের সাদরে গ্রহণ করেছি। এটা আপনাদেরও বাড়ি। আপনারা জেনে নিন, আপনারাও নাগরিক। আপনাদের কোনও সার্টিফিকেট দরকার নেই। এখন যদি বলে, ঠাকুমার সার্টিফিকেট দাও, ঠাকুর্দার সার্টিফিকেট দাও, দিতে পারবেন তো! আমি বলে দিচ্ছি, মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক। আর কারও কোনও সার্টিফিকেট (NRC) দরকার নেই।

তাঁর দাবি, রাজ্যে ৯৪টি উদ্বাস্তু বস্তি ছিল। সেগুলি আইনি করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের জমিতে আরও আড়াইশো কলোনি রয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা উদ্বাস্তু হিসেবে ঘোষণা করে নাগরিক করে দিয়েছি। কেউ বলতে পারবে না কাউকে উদ্বাস্তু বলে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে। কোনও এনআরসি হবে না, কোনও ক্যা হবে না।

বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করে তিনি বলেন, বিজেপির কাজই হল এটা। বাংলা থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দাও আর বাংলাকে গুজরাত বানিয়ে দাও।
আমরা বাংলার মানুষ যে ভাষায় একসঙ্গে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলি, যারা বাংলায় থাকে, তারা বাংলার মানুষ হিসেবে চিহ্নিত। বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে, আর আরএসএস নিয়ে আসছে। হিন্দু ধর্ম কী, সেটা স্বামী বিবেকানন্দ শেখাবেন, সেটা কি আরএসএস শেখাবে?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#CAA Protest, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন