কৃষকদের খাবার জোগাতে দিল্লির অনশনস্থলে বসল রুটি মেশিন
কেন্দ্রের ‘কালা’ আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলন (Farmers’ Protest) চলবে। এই সিদ্ধান্তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিক্ষোভকারীরা। সেইমতো রসদ সংগ্রহ করে তবেই রাজধানীর অবরুদ্ধ করার পথে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। এতদিন দিল্লির (Delhi) সিংঘু সীমানায় অবস্থানে বসা কৃষকদের জন্য খাবার সরবরাহ করছিল স্থানীয় গুরুদ্বারগুলি। কখনও আবার নিজেদের মতো করে রান্না করে নিচ্ছিলেন তাঁরা। তবে এবার তাঁদের জন্য রুটি তৈরির যন্ত্র বসানো হল দিল্লি গুরুদ্বার কমিটির পক্ষ থেকে। এই মেশিনে মাত্র ১ ঘণ্টায় তৈরি হয়ে যাবে দু’হাজারটি রুটি।
সপ্তাহ দুই হতে চলল হরিয়ানা-দিল্লি সীমানার সিংঘু (Singhu border), টিকরিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার কৃষক। এই শীতে বিশেষ সহজ কাজ নয় তা। নিজেদের রসদ সঙ্গে আনলেও তা দিয়ে কতদিনই বা চলে? অথচ আন্দোলনের আঁচ তো বাড়ছেই। ফলে দাবি না মেটা পর্যন্ত তা চালিয়ে যেতেই হবে। প্রথমদিকে কৃষকরা কোনওক্রমে নিজেদের রান্নার ব্যবস্থা নিজেরাই করছিলেন। জট কাটাতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকগুলিতে সরকারের তরফে দেওয়া খাবার পর্যন্ত তাঁরা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। সম্প্রত আন্দোলনকারীদের চা, জলখাবারের ব্যবস্থা করেছে খালসা এইড ফাউন্ডেশন। দিল্লির হাড়হিম করা শীতে তাঁদের শীতবস্ত্রের জন্য বিপুল অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন পাঞ্জাবি পপস্টার দিলজিৎ দোসাঞ্জ। এভাবেই তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকে।
এবার অন্নদাতাদের জীবনপণ লড়াইয়ের পাশে দিল্লির গুরুদ্বার সমিতি। রান্নার ঝক্কি কমাতে অনশনস্থলে বসানো হল রুটি তৈরির যন্ত্র। এই যন্ত্র সাধারণত দেশের বড় বড় গুরুদ্বারগুলির লঙ্গরখানায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সহজে বেশি সংখ্যক রুটি তৈরির জন্য এই যন্ত্র খুবই উপযোগী। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে দিনভর লঙ্গরের জন্য রয়েছে রুটি মেশিন। এবার সেই মেশিনই এল দিল্লির কৃষক বিক্ষোভের জায়গায়। ময়দার তাল এর মধ্যে দিলে যন্ত্র নিজেই রুটি তৈরির বাকি কাজটা করে। ফলে কম পরিশ্রমে সহজে খাবার তৈরি করা যাবে। আন্দোলনকে সচল রাখতে হলে যা অতি জরুরি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কৃষকদের ভারত বন্ধের দিনই মেশিনটা বিক্ষোভস্থলে আনা হয়েছে।