মোদী কথা না শুনলে দেশজুড়ে রেল পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঙ্কার কৃষকদের
কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে এবার দেশজুড়ে রেল পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঙ্কার প্রতিবাদী কৃষকদের। বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যে কোনওভাবেই আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না, তা বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দিলেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
এদিন প্রতিবাদ স্থলে সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে কৃষক নেতা বুটা সিং সাফ বলেন, “আমরা ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। ওই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি না মেনে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল না করেন তাহলে রেল পরিষেবা স্তব্ধ করে দেব আমরা। এই আন্দোলনে গোটা দেশের মানুষ ট্রেন লাইনে নামবে। সংযুক্ত কিষান মঞ্চ এই বিষয়ে তারিখ নিশ্চিত করে শীঘ্রই ঘোষণা করবে।” ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (আর)-এর নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে নয়া কৃষি আইন ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। কৃষি যদি রাজ্যের আওতায় থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করার অধিকার কেন্দ্রের নেই।”
উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫ দিন থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকরা। প্রচণ্ড শীতেও নিজের দাবিতে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক নেতাদের আলোচনা হলেও জট কাটেনি। সম্প্রতি বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় সরকারের দেওয়া খবর ছুঁয়েও দেখেননি কৃষকরা। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে নিজেদের দাবি থেকে কোনওভাবেই সরানো যাবে না তাঁদের। এদিকে, কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও বিতরণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব দানভের (Raosaheb Danve) বিতর্ক উসকে দাবি করেছেন, দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষকদের যে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ (Farmers Protest) চলছে, তার নেপথ্যে নাকি হাত রয়েছে ভারতের শত্রু চিন এবং পাকিস্তানের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, ভারতের শত্রু দেশগুলিই কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে তাদের প্ররোচিত করছে।