নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
মোদি সরকার ৯৭১ কোটি টাকা খরচ নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করতেই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সদ্য করোনার মারে বিধ্বস্ত অর্থনীতির উপর নতুন করে চাপ কেন? সংসদ ভবনের পরিবর্তনের দরকারটাই বা কী? সমস্যা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্তও। শীর্ষ আদালত ঘোষণা করে দিয়েছে, কেন্দ্র চাইলে ভুমিপুজো করতেই পারে। কিন্তু এখনই নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে না। সেসব নিয়েও টুকটাক বিতর্ক হয়েছে। তবে, যাবতীয় বিতর্ককে পিছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ৯৭১ কোটি টাকা খরচের এই প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে ফেললেন।
প্রথা মেনে এদিন দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয় নতুন সংসদের ভূমিপুজনের অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ বেঙ্কাইয়া নাইডু। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের একাধিক নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নিজের হাতে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। ভূমিপুজার শেষে সর্বধর্ম প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়েছে।
২০২২ সালের মধ্যে নতুন সংসদ নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্র নিয়েছে মোদি সরকার। যদিও সেটা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট আপাতত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে, নতুন ভবনের তৈরি হলে লোকসভায় (Lok Sabha) বসতে পারবেন একসঙ্গে ৮৮৮ জন সদস্য। রাজ্যসভায় বসতে পারবেন ৩৮৪ জন সদস্য। আগামিদিনে সংসদের দুই কক্ষে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই এমন বন্দোবস্ত বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন সংসদ ভবন তৈরির জন্য দরপত্র আগেই ডাকা হয়েছিল। দরপত্র দিয়েছিল লারসেন অ্যান্ড টুরবো, সাপুরজি-সহ মোট সাতটি সংস্থা। ভবন তৈরির জন্য সর্বোচ্চ খরচ ধরা হয়েছিল ৯৭১ কোটি টাকা। তবে সবচেয়ে কম দর হেঁকে বরাত পেয়েছে টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)। সংসদের ভিতরে থাকবে আত্মনির্ভর ভারতের মন্দির। যেখানে বিবিধের মাঝে মিলনের উদাহরণ তুলে ধরা হবে।