পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে মালদায় বসছে ১০টি জলাধার
গাজোল ব্লকের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০টি পরিশ্রুত পানীয় জলের জলাধার (Water Reservoirs) বসানো হবে। এজন্য উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বোর্ড। জলাধার বসানোর জন্য আলালের একাধিক গ্রামে জায়গা নির্বাচন করার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষা।
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই পঞ্চায়েতের আলাল, ময়না, রাজা রামচক, বাইশদিঘি, শ্রীকৃষ্ণপুর, মহাকল্পনা, দেড়হাটের মতো এলাকায় এই জলাধারগুলি বসবে। সেজন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজের অনুমোদন আগেই চলে এসেছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। টেন্ডারের কাজ শেষ হলেই দ্রুত জলাধার নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে যাবে।
আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামপঞ্চায়েতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের খুব অভাব ছিল। গ্রামগুলির বাসিন্দাদের জল সংগ্রহ করার জন্য দূর দূরান্তে যেতে হতো। এই সমস্যা মেটানোর জন্য গোটা গ্রামপঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে ১০টি পরিশ্রুত পানীয় জলের জলাধার বসানো হবে। ওই জলাধারগুলি থেকে যে জল মিলবে, তার মান খুব ভালো হবে। আমাদের জেলার শহর এলাকায় সাধারণত এধরনের জলাধার দেখা যায়। এই কাজের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে। একেকটি জলাধার তৈরি করার জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা করে খরচ করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই কাজ শুরু করে দেব। আগামী দিনে এই ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ আলালে আরও করা হবে।
প্রসঙ্গত, গাজোল বরিন্দ এলাকার মধ্যে পড়ে। গোটা মালদহ জেলার মধ্যে বরিন্দ এলাকার গ্রামগুলির মধ্যেই পানীয় জলের সমস্যা সবথেকে বেশি। গাজোলের বাসিন্দাদের পানীয় জলের জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সাব মার্সিবল পাম্প থেকে অনেকে পানীয় জল সংগ্রহ করেন। অনেকে বাধ্য হয়ে পানীয় জল কিনে খান। তাতে অনেক খরচ হয়। আবার এই এলাকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশই দরিদ্র। তাঁদের পক্ষে সবসময় জল কিনে খাওয়াও সম্ভব হয় না। তাই গাজোলের আলাল গ্রামপঞ্চায়েত জুড়ে পরিশ্রুত পানীয় জলের জলাধার এলাকার মানুষের কাজে লাগবে বলে আশা প্রকাশ করেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
জলাধার বসার খবর চাউর হতেই এলাকায় খুশির হওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। আলাল গ্রামপঞ্চায়েতের (Alal Gram panchayat) ১২ নম্বর বুথের গ্রাম সংসদ সদস্যা সুমিতা মহলদার বলেন, পরিশ্রুত জলের ব্যবস্থা নিয়ে গ্রামের মানুষের বহু দিনের দাবি ছিল। সেই দাবির কথা আমরা অনেক আগেই পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম। আমাদের সংসদেও একটি জলাধার বসছে। বহু মানুষ এতে উপকৃত হবেন। পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।