সিন্ধু সভ্যতার মানুষরা খেত গরুর মাংস, বলছে গবেষণা
সিন্ধু সভ্যতার সময়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের অনেকটা জুড়ে ছিল মাংস। শুয়োর, মোষ, ভেড়া, ছাগল— কিছুতেই অরুচি ছিল না তাদের। এই তথ্য দিচ্ছে বিখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা। ‘লিপিড রেসিডিউজ ইন পটারি ফ্রম দ্য ইন্ডাস সিভিলাইজেশন ইন নর্থ-ওয়েস্ট ইন্ডিয়া’ শীর্ষক এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন অক্ষেতা সূর্যনারায়ণ। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Cambridge University) তাঁর পিএইচডি থিসিসের একটা অংশ এই গবেষণা।
সিন্ধু সভ্যতার (Indus Civilization) সময়কার মাটির পাত্রে খাদ্যদ্রবের অবশিষ্টাংশ পরীক্ষা করে সূর্যনারায়ণ এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, সাড়ে চার হাজার বছর আগে সিন্ধু নদের তীরের মানুষ পেট এবং জিভের চাহিদা মেটাতে মাংসের ওপরেই বেশি পরিমাণে নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি বলছেন, বেশি অনুপাতে গবাদি পশুর হাড় দেখে মনে হয়, সে সময়ে ‘বিফ’ খাওয়ার চল বেশি ছিল। সঙ্গে ছাগল এবং ভেড়াও খাওয়া হত।
এই গবেষণায় মাটির পাত্রের ১৭২টি খণ্ডের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। তা থেকেই এই ফলাফল। সমীক্ষা বলছে, সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন ভগ্নাবশেষ থেকে পাওয়া প্রাণিজ নমুনার ৮০ শতাংশই গৃহপালিত পশুর। তার মধ্যে গবাদি কিংবা মোষের হাড়গোড় সবথেকে বেশি, প্রায় ৬০ শতাংশ। এরপরে রয়েছে ভেড়া এবং ছাগলের নমুনা যা ১০ শতাংশ মতো।