রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উপকূলীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বানানোর উদ্যোগ বন্দর কর্তৃপক্ষের

December 11, 2020 | 2 min read

উপকূলীয় বাণিজ্য বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি (এসএমপি) বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই উদ্দেশ্যে বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি ও পরিচালনার জন্য আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছ থেকে আগ্রহপত্র বা এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট আহ্বান করেছে তারা। এমাসের মধ্যেই তা জমা পড়ার কথা। আগ্রহী সংস্থাগুলি নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। প্রসঙ্গত, বন্দরের কাজে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই খাতে প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।

করোনার কারণে অন্যান্য সংস্থাগুলির মধ্যে কলকাতা-হলদিয়া বন্দরে পণ্য পরিবহণও বেশ কিছুটা মার খেয়েছে। বন্দর (Port) সূত্রের খবর, করোনাকালে প্রায় ২৫ শতাংশ ব্যবসা কমেছে। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণ থেকে বন্দরের আয় কমেছে। এই পরিস্থিতিতে উপকূলীয় পথে আভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহণের উপর জোর দিয়ে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

লকডাউনের আগে থেকে উপকূলীয় বাণিজ্য শুরু হয়েছে বন্দরে। কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই কন্টেনারের যাওয়া-আসা শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর বন্দরে। দক্ষিণ ভারত থেকে গাড়ি জাহাজে আনার জন্য তৎপরতা চলছে। কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ত্রিপুরায় পণ্য প্রেরণও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণও বাড়ছে। কলকাতা থেকে বারাণসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই জলপথের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে একটি হাব চালু হয়েছে। হুগলির বলাগড় এলাকাতেও একটি হাব তৈরি হবে। নেপাল-ভুটানের পণ্য কলকাতা-হলদিয়া বন্দরের মাধ্যমে আসে। অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে নেপাল-ভুটানের পণ্য কিছুটা পথ নিয়ে যাওয়া হবে। এতে খরচ কমবে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ জলপথের বাণিজ্য এসএমপি বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ের একটা বড় উৎস হয়ে উঠতে চলেছে।

উপকূলীয় বাণিজ্যর জাহাজ চলাচলের জন্য কলকাতা বন্দরের খিদিরপুর ডক অংশটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বন্দরের এই অংশের ঢেলে সংস্কার করা হবে। খিদিরপুর ডকের বার্থগুলিকে আধুনিক চেহারায় গড়ে তোলা হবে। এখানে কন্টেনার ও অন্যান্য পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা থাকবে। এখন সংস্কারের অভাবে খিদিরপুর ডক পুরোপুরি ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।

উপকূলীয় পথে বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে যে সব বাধা আছে তা দূর করার জন্য বিশেষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (Online Platform) গড়ে তুলতে চাইছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যেসব সংস্থা পণ্য পাঠাবে তাদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয় এতে বাড়বে। অনলাইনে পুরো ব্যবস্থার উপর নজরদারি করা যাবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে—পণ্য খালাস করে কোনও বন্দর থেকে জাহাজ যাতে ফাঁকা না ফেরে সেটাও খানিকটা নিশ্চিত করা যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Platform, #Port, #coastal trade

আরো দেখুন