উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিমানবন্দর নিয়ে কোচবিহার সাংসদের চিঠিতে বিতর্ক

December 12, 2020 | 2 min read

সামনে বিধানসভা ভোট। তাই এখনই কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্স রিনিউ না করলে রাজনৈতিক সুবিধা পাবে রাজ্যের শাসকদল। কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ না হওয়া নিয়ে এমনই কথা জানিয়ে হরদীপ সিং পুরিকে (Hardeep Singh Puri) চিঠি দিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।

একজন সাংসদ কেন্দ্রীয় কোনও মন্ত্রীকে এমন চিঠি লিখতে পারেন কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সাংসদের এই চিঠির তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বিমানবন্দরের লাইসেন্স রিনিউ হচ্ছে না। ফলে বন্ধ হতে যাচ্ছে কোচবিহারের বিমানবন্দর।

কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “বেশ কিছুদিন ধরেই মৌখিকভাবে ও সংবাদমাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি যে কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হচ্ছে না৷ আমার একান্ত অনুরোধ আপনি দ্রুত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ বাতিল বিষয়টিকে রদ করে বিমানবন্দর সচল রাখার ব্যবস্থা করুন। কারণ যদি কোচবিহারের এয়ারপোর্ট (Cooch Behar Airport) বন্ধ হয়ে যায় তাহলে রাজ্য সরকার রাজনৈতিক সুবিধা পাবে। এতে সামনের নির্বাচনে ভোটবাক্সেও যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। তাছাড়া এই বিমানবন্দরটি কোচবিহারবাসীর আশা ও আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সুতরাং আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ যেভাবেই হোক আপনি এই রিনিউ বাতিলের বিষয়টি আটকান।’

রাজনৈতিক মহলের মতে, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সরকারিভাবে বিমানবন্দরের রিনিউ বাতিল না করার জন্য সাংসদ যে কারণ দেখিয়েছেন তা খুবই অসাংবিধানিক। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindra Nath Ghosh) বলেন,“সিভিল আ্যাভিয়েশন মন্ত্রক থেকে কোচবিহারের এই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চিঠি এসেছে। ওরা এটা বন্ধ করে দিতে চাইছে।’

সাংসদের চিঠির প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেন, “একটা পঞ্চায়েত দসা হওয়ার যোগ্যতাও ওর নেই। কোন চিঠিতে কী ভাষা ব্যবহার করতে হয়, সেটা উনি জানবেন কী করে?’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “বিজেপি কোনোদিনই সাধারণ মানুষের স্বার্থে কিছু করেনি। বিজেপি যে ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়েই সব কাজ করে, সাংসদের এই চিঠিতেই তা পরিষ্কার।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Nishith Pramanik, #Cooch Behar Airport

আরো দেখুন