ডিজিটাল ভোটার কার্ড চালু করতে চায় নির্বাচন কমিশন
আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ডিজিটাল রূপ পেয়েছে আগেই। এবার সচিত্র ভোটার কার্ডের ডিজিটাল সংস্করণ চালুর ভাবনা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। একথা জানালেন কমিশনের এক প্রবীণ আধিকারিক। তবে ডিজিটাল ভোটার কার্ড চালু নিয়ে কমিশন যে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
কমিশনের এই আধিকারিক বলেন, মাঠে ময়দানে কাজ করা অফিসারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি আমরা। এবিষয়ে তাঁরা কী ভাবছেন, তাও জানতে চাইছি। রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের মাধ্যমে তাঁদের মতামত গ্রহণ করছি আমরা। সাধারণ মানুষের ভাবনাচিন্তাও জানার চেষ্টা চলছে। ডিজিটাল ভোটার কার্ড (Digital Voter Card) চালু করা নিয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তা চলছে।
তাহলে কি কোনও অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল ফোনেই রাখা যাবে এই ডিজিটাল ভোটার কার্ড? কমিশনের এই কর্তা জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সবটাই খোলসা করা হবে। তাঁর কথায়, মোবাইল, ওয়েবসাইট বা ইমেল… যেভাবেই হোক না কেন, মোদ্দা কথা হল আরও দ্রুত ও সহজে মানুষের কাছে কার্ড পৌঁছে দেওয়া। সাধারণ কার্ড ছেপে তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে অনেক বেশি সময় লাগে।
ডিজিটাল কার্ড হলে ভোটারদের ছবিও অনেক স্পষ্ট হবে। সংশ্লিষ্ট ভোটারের শনাক্তকরণও অনেক সহজ হবে। কমিশনের অন্য এক কর্তা বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এধরনের কার্ডের নিরাপত্তার দিকটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যাতে প্রযুক্তির অপব্যবহার না হয়, সেটি নিশ্চিত করা দরকার।
১৯৯৩ সালে প্রথম সচিত্র ভোটার কার্ড চালু করেছিল নির্বাচন কমিশন। নাগরিকদের অন্যতম পরিচয়পত্র হিসেবেও গৃহীত হয় এই কার্ড। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এবার সচিত্র ভোটার কার্ডও ডিজিটাল রূপ পাওয়ার পথে। অন্তত কমিশনের ভাবনা সেরকমই।