বিক্ষুব্ধদের কটাক্ষ সৌগত রায়ের
নির্বাচনের আগে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ‘দোদুল্যমান’ নেতাদের তিনটি পর্যায়ে ভাগ করে খোঁচা দিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। সেই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিলেন, দল সকলকে নিয়ে চলতে আগ্রহী। কিন্তু সেই নেতা যেন কোনও বক্তব্য থাকলে, তা দলের মধ্যে তুলে ধরেন।
ইদানিং রাজ্যের শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে প্রকাশ্যেই মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে। কখনও দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কখনও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। তাঁদের ওই মন্তব্য সংবাদের শিরোনামেও উঠে আসছে। অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে দলকে। এই অবস্থায় শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে নেতাদের তিন ধরনের পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করলেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘৫০ বছর ধরে রাজনীতি করতে গিয়ে শিখেছি, নির্বাচনের আগে কিছু লোক নানা কথা বলেন। এক্ষেত্রে তিন রকমের লোক আছেন।’ এরপরই সৌগতবাবুর উল্লেখ, ‘এক ধরনের লোক আছেন, যাঁরা ভয় পান মনোনয়ন পাবেন কি না, তা নিয়ে! দ্বিতীয়ত, যাঁরা ভয় পান মনোনয়ন পেলেও, জিততে পারবেন কি না, এই সংশয়ে! আর তৃতীয়, কিছু লোক মনে করেন নির্বাচনের আগে এটাই মওকা। পার্টি এখন কিছু করতে পারবে না। তাই দর কষাকষি করেন!’ তবে সাম্প্রতিককালে আলোচিত তৃণমূল নেতাদের কোন পর্যায়ে ফেলছেন, সেটা অবশ্য বলতে চাননি দুঁদে রাজনীতিবিদ। তাঁর ব্যাখ্যা, আমি শুধু সাধারণ তত্ত্বটা তুলে ধরেছি। কিন্তু কোনও নেতার মন্তব্য নিয়ে কিছু বলব না।
যদিও সৌগতবাবু মনে করেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে নেতাদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য হয়েই থাকে। তা নিয়ে চিন্তিত নন। বরং এটা উল্লেখ করেছেন, যাঁরা পার্টিতে আছেন, তাঁরা যাতে পার্টিতেই থাকেন, সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব। যখন পার্টি ছেড়ে দেবেন, তখন তাঁরা আমাদের বিরোধী হয়ে যাবেন।
বিধানসভা নির্বাচনে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল ‘মিম’ বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। যাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। সৌগত রায় বলেছেন, বিভাজন ঘটিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করে মিম। কিন্তু রাজ্যে বাংলা ভাষি মুসলমান। তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।
করোনার বিরুদ্ধে রাজ্য কীভাবে লড়াই করছে, তা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সবিস্তারে তুলে ধরেন সাংসদ শান্তনু সেন। তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বাংলায় কর্মসংস্থানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ২০১০ সালে ৫০০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ছিল। এখন সেটা ১৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।