সাংসদ হিসাবে এখনও অন্নপ্রাশনই হয়নি- দিলীপকে তোপ কল্যাণের
দিন যত যাচ্ছে ততই রাজ্যে চড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। এই পরিস্থিতিতে শাসক-বিরোধী প্রায় প্রতিদিনই জড়িয়ে পড়ছে বাক তরজায়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) ও বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের মতো বাকবিতণ্ডা লেগেই চলেছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J.P.Nadda) কনভয়ে হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজনীতির অলিন্দ। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকারে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছে। এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল সাংসদকে ‘হরিদাস পাল’ এবং ‘আধ পাগলা লোক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তারই পালটা জবাব দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, “দিলীপ ঘোষ ফোর টোয়েন্টি। মাফিয়া। গুন্ডা। ওর থেকে আমাকে আইনজীবী সার্টিফিকেট নিতে হবে? সাংসদ হিসাবে দিলীপ ঘোষের এখনও অন্নপ্রাশনই হয়নি। চিঠি লেখার এক্তিয়ার নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন।”
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরে চায়ে পে চর্চায় ফের কল্যাণকে বিঁধলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ঠিক তেমনই সৌগত রায়কেও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর আক্রমণ, “মা-মাটি-মানুষের যাত্রাপালায় এখন দু’জন জোকার। একজন মোটা। আর একজন রোগা। বেচারা সৌগতবাবু। অধ্যাপক মানুষ। রাজনীতির বিশেষ কিছু বোঝেন না। তাঁকে তৃণমূল সামনে এগিয়ে দিয়েছে। আর লেজে গোবরে হচ্ছেন।” যদিও রোগা এবং মোটা বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি দিলীপ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ প্রসঙ্গে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সৌগত রায় বলেন, “দিলীপ ঘোষ যে ভাষায় কথা বলে তার প্রতিক্রিয়া দিতে আমার লজ্জা হয়।” বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক-বিরোধী তরজাতেই আপাতত সরগরম রাজনীতির ময়দান।