যুদ্ধের সম্ভাবনা? সেনাকে ১৫ দিনের রসদ মজুতের নির্দেশ
সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, যেকোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে ভারত। শুধু জয়শঙ্করই নন, লাদাখ নিয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন আরও একাধিক মন্ত্রী। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে আরও বেশি করে সমরাস্ত্র মজুত করার ক্ষমতা দেওয়া হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে বলা হয়েছে, টানা ১৫ দিন যুদ্ধ করার মতো রসদ যেন মজুত করে রাখা হয়। মন্ত্রীদের হুঙ্কার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশের পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তবে কি এবার বড় কোনও পদক্ষেপের পথে যেতে চলেছে সেনা। কারণ লাদাখ (Ladakh) অচলাবস্থা এখনও কাটেনি। একের পর এক বৈঠক হলেও, নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও সরেনি ভারত (India) ও চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে সেনা প্রত্যাহারের বদলে ‘বিস্তারবাদ’ চালিয়ে যাচ্ছে চীন (China)। অন্যদিকে সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে লাগাতার গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্তে গুলির লড়াই জারি রেখে ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি ঢোকানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সেদেশের রেঞ্জার্স। এই পরিস্থিতিতে ‘সাঁড়াশি’ আক্রমণ ঠেকাতে বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারই পদক্ষেপ হিসেবে বাহিনীকে ১৫ দিনের মতো সমরাস্ত্র ও রসদ মজুত করে রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ১০ দিনের মতো রসদ মজুত রাখার ক্ষমতা সেনাবাহিনীর রয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ৪০ দিন লড়াই করার মতো অস্ত্র মজুতের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে ছিল। কিন্ত যুদ্ধের প্রকৃতিগত বদল এবং মজুত ভাণ্ডারের অভাবে তা ১০ দিনে নামিয়ে আনা হয়। ২০১৬ উরি হামলার সময় এই নিয়মে সমস্যায় পড়ে সেনাবাহিনী। তারপরেই তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর (Manohar Parrikar) তিন বাহিনীকে আরও বেশি আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করেন। অস্ত্র মজুত করার বরাদ্দ ১০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে সমরাস্ত্র কিনতে সেনাবাহিনীর জন্য আরও ৩০০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিভিন্ন সমর সরঞ্জাম কিনতে শুরু করেছে। তারপরেই যুদ্ধের কথা ভেবে সেনাবাহিনীকে ১৫ দিনের জন্য রসদ মজুত করার ক্ষমতা দেওয়া হল।