কলকাতা থেকে বিমানের সংখ্যা বাড়তে চলেছে
করোনার প্রকোপ এখন একটু কমের দিকে। এই অবস্থায় বিমান ওঠা-নামার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। চলতি সপ্তাহেই তা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ট্রেনের চাকা গড়ানোর অনেক আগেই চালু করা হয় বিমান পরিষেবা। দিন কয়েক আগে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন (Local Train)। লক্ষ্য করা গিয়েছে, নিউ নরমালের শুরু থেকেই বিমান পরিষেবার উপর ভরসা রাখছেন যাত্রীরা। পরিযায়ী শ্রমিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগী সকলেই বিমানে যাতায়াত করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আসা-যাওয়া করছে আন্তর্জাতিক বিমানও। ট্রেন চলাচল শুরু হলেও বিমানের ক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা বিন্দুমাত্র কমেনি বলেই কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বরং যাত্রী সংখ্যার নিরিখে প্রত্যেকদিনই রেকর্ড তৈরি হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সম্মতি এসেছে ডিজিসিএ থেকে। কলকাতা বিমানবন্দরের (Kolkata Airport) অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ডিজিসিএ ৮০ শতাংশ বিমান চলাচলের অনুমোদন দিয়েছে। সপ্তাহ থেকে তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এয়ারলাইন্স সংস্থা বিমান চলাচলের সংখ্যা বাড়াছে। ফলে বর্তমানে যে সংখ্যক বিমান ওঠানামা করছে, দিন কয়েকের মধ্যে তো আরও বাড়বে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সপ্তাহের সোম, বুধ ও শুক্রবার বিমান আসা-যাওয়ার সংখ্যা ১৫০ পৌঁছে গিয়েছে। আগে সংখ্যাটা ছিল ১২৫-এর কাছাকাছি। যেহেতু সপ্তাহের সোম, বুধ, শুক্রবার কোনও বিধিনিষেধ নেই, ফলে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, পুনে, আমেদাবাদ, নাগপুর থেকে কলকাতায় বিমান এসে নামছে। কলকাতা থেকেও ওই ছয় শহরে বিমান যাচ্ছে। কিন্তু করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির জন্য সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। ওই দিনগুলিতে বিমান আসা-যাওয়ার সংখ্যা আগে ছিল ৮০-৯০টি। ডিজিসিএ-র নির্দেশের পর সেই সংখ্যা ১১০ পৌঁছে গিয়েছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যাত্রী সংখ্যা গত শুক্রবার ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে এটাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ওই ছয় শহরের সঙ্গে ঘুরপথে বিমান চালাচ্ছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সংস্থা। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট সংস্থা দাবি করেছে, শীতের মরসুম শুরু হয়েছে। ফলে পর্যটকরা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাবেন। এই অবস্থায় সপ্তাহের প্রতিদিনই ওই ছয় শহরের সঙ্গে কলকাতার বিমান যোগাযোগ চালু করা হোক। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবিষয়টি সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারের সম্মতির উপর নির্ভর করছে।