কন্ডোম ছাড়াই সুরক্ষিত যৌনমিলন
প্রশ্নটা অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করে। এমন যদি সত্যিই হয়, তবে তো অনেকেরই পোয়াবারো। কারণ কন্ডোম ব্যবহার করতে চান না অনেকেই। কারও মতে এতে শারীরিক মিলন সম্পূর্ণ উপভোগ করা যায় না, অনেকে আবার যৌনতার সময় ‘তৃতীয় বস্তুর’ উপস্থিতি মেনে নিতে পারে না। তবে কন্ডোম ছাড়া সুরক্ষিত মিলন সম্ভব। কিন্তু তার জন্য অতিরিক্ত সচেতনতা আর সতর্কতা জরুরি।
যৌনমিলনের পর ঠিক সময় ‘পুল আউট মেথড’ প্রয়োগ করতে হয়। ঠিক সময় পুরুষাঙ্গ ভ্যাজাইনা থেকে বের করে নিতে হবে। তাহলে বীর্য নারীদেহের ভিতর পড়বে না। আর গর্ভধারণের সম্ভাবনাও থাকবে না। কিন্তু সেই সঙ্গে একথা মাথায় রাখতে হবে এর সাহায্যে শুধু গর্ভধারণ রোধ করা যায়, কন্ডোম কিন্তু শুধু গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে, তাই নয়, সংক্রমণও আটকায়। এইচআইভি ও এসটিডি-এর মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে কন্ডোম। তাই এসব ক্ষেত্রে সুরক্ষা পেতে হলে কন্ডোম ছাড়া গতি নেই।
কেউ কেউ সুরক্ষিত থাকতে ‘ডচিং মেথড’ ব্যবহার করে। যোনি জোরে জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা কখনওই করা উচিত নয়। ভ্যাজাইনার ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায় জল। এই অতিরিক্ত জলটি ফের ভ্যাজাইনা দিয়ে বেরিয়ে আসে। এতে যোনির ক্ষতি হয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এর ফলে ভ্যাজাইনায় সংক্রমণ বা পিআইডি হতে পারে।
তবে একটা কথা কিন্তু দম্পতিরা স্বীকার করেন। কন্ডোমের মধ্যে কিন্তু আলাদা মজা রয়েছে। নাহলে কি বিভিন্ন ধরন, আকার আর স্বাদের কন্ডোম বাজারে বিক্রি হয়? উদ্দীপনা বাড়াতেও সাহায্য করে কন্ডোম। বাজার চলতি সেই সব কন্ডোমের চাহিদাই বলে দেয়, যতই অনেকে অভিযোগ করুক, কন্ডোম যৌন জীবনে অন্তরায়, আদতে কিন্তু তা নয় একেবারেই। বরং সেফ সেক্স ও অতিরিক্ত সুখের জন্য কন্ডোমের চেয়ে ভাল কিছুই নেই। তাই তো দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলি নিত্যনতুন কন্ডোম প্রস্তুত করতে তৎপর।