← স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান
শীতকালে ভাইরাল জ্বর – কী করবেন?
শীতের মরশুমে সক্রিয় হয়ে ওঠে জীবাণুরা। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে তাই জ্বরের হানায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা সহজেই আক্রান্ত হন অসুখে। শিশু ও বয়স্করাই এ ক্ষেত্রে ‘সফ্ট টার্গেট’। বিভিন্ন ভাইরাস যেমন-অ্যাডিনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনো ভাইরাসরাই এই জ্বরের জন্য দায়ী। যাঁরা ডায়াবেটিস, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে ভোগেন তাঁরাও এর শিকার হন সহজে।
এই ধরনের ভাইরালে কী করণীয়?
এই ধরনের জ্বরে শরীরে জলের ভাগ কমতে থাকে। তাই প্রচুর জল খান, ডাল জাতীয় খাবার, ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি থাকুক মেনুতে। সহজপাচ্য খাবার খান, যাতে লিভারকে বেশি পরিশ্রম করতে না হয়।
সচেতনতা যেমন প্রয়োজন, তেমনই সেরে উঠতে চাইলে মনের জোরও দরকার। ‘অজানা’ জ্বর বলে অকারণ আতঙ্কিত হবেন না। ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসা শুরু করলে ও নিয়ম মানলে এই জ্বর কমানো যায়।
- শিশু ও বয়স্কদের দিকে বাড়তি নজর রাখুন। তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দেখতে হবে যেন গায়ে গরম জামা-কাপড় থাকে।
- ধূমপান ছাড়তেই হবে। খুব প্রয়োজন না পড়লে গা গরম থাকলে বাইরে বেরবেন না।
- জ্বর হলে তা নিয়ে অফিস করতে যাবেন না। অনেকেই কাজের চাপে বাধ্য হয়ে প্যারাসিটামল খেয়ে অফিস যান। বাইরের আবহাওয়ায় এই সব জ্বর বাড়ে। তাই বাড়িতে বিশ্রাম নিন।
- জ্বর সারলেও ‘পোস্ট ভাইরাল এফেক্ট’-এর প্রভাবে ক্লান্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। গায়ে জোর আনতে প্রচুর শাক-সব্জি, চিকেন স্টু রাখুন পাতে।
- অনেক ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশি থেকে রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে সংক্রমণ ঘটছে। সেখান থেকেই ধেয়ে আসছে জ্বর। তাই
- ফ্রিজের জল, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন এই সময়।
- অ্যালার্জি থেকেও সর্দি-কাশি বাড়ে। তাই যে সবে অ্যালার্জি আছে, সে সব থেকে দূরে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যালার্জির হানা বুঝলে বাজারচলতি স্প্রে, ড্রপে ভরসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।