বিজেপিই আসলে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’! ক্ষোভে ফুঁসছে প্রাক্তন শরিক দল
রুজির জন্য রাজধানী সীমানায় গত ১৮ দিন ধরে প্রতিবাদে অনড় চাষিদের মধ্যে কখনও খালিস্তানি উগ্রপন্থী কখনও আবার মাওবাদীদের উপস্থিতি ‘টের’ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জবাবে ফের বার্তা দিয়েছেন কৃষক নেতারা। কনকনে শীত সত্ত্বেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকা চাষিদের সম্পর্কে বিজেপি সরকারের এমন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা দিতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। আর এবার চাষিদের নিয়ে নানান কথায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কয়েকদিন আগে পর্যন্তও গেরুয়া শিবিরের শরিক দল থাকা শিরোমণি অকালি দল (Akali Dal)।
মঙ্গলবার অকালি দলের মুখপাত্র সুখবীর সিং বাদল (Sukhbir Singh Badal) বিজেপিকেই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলে কটাক্ষ করেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধীদের উদ্দেশে বারবার ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করছে বিজেপি নেতারা। কিন্তু এদিন সুখবীর সিং বাদল বলেন, ‘কৃষক আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে অশান্তি বাঁধাতে চাইছে বিজেপি। একইসঙ্গে পঞ্জাবের হিন্দুদেরও শিখদের বিরুদ্ধে করে দেওয়ার প্রয়াস চলছে। আন্দোলনকে ভাঙতে দেশবাসীর সামনে বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিতে চাইছে বিজেপি।’
যদিও শুধু সুখবীর সিং বাদলই নন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম সম্প্রতি টুইটারে লেখেন, ‘বিক্ষোভকারীদের প্রথমে খালিস্তানি, তার পর পাকিস্তান ও চিনের এজেন্ট এবং অতি সম্প্রতি টুকরে টুকরে গ্যাং বলেছেন মন্ত্রীরা। সত্যি যদি প্রতিবাদীদের মধ্যে এরাই থাকে তার অর্থ বিক্ষোভকারীরা কেউই আসলে চাষি নন। তা-ই যদি হবে, তা হলে সরকার কাদের সঙ্গে কথা বলছে?’
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অভিযোগ, এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে দেশের স্থিতাবস্থা নষ্টের তালে রয়েছেন বিরোধীরা। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের আবার মত, ‘কিছু মানুষ শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করেন।’ তোমরের আরও দাবি, স্বল্পমেয়াদে কারও কারও অসুবিধা হলেও দীর্ঘমেয়াদে নয়া আইনের সুফলই পাবেন চাষিরা। এখনও পর্যন্ত অবশ্য সে ‘সুফল’-এর সম্ভাবনায় আস্থা রাখতে পারেননি কৃষকেরা।