কোভিড টিকা – প্রভূত নজরদারির ব্যবস্থা
পাঁচ সদস্যের দল, ইন্টারনেট ও মোবাইল সাইটের নজরদারির মাধ্যমে চলবে ভারতে কোভিড টিকা (Covid Vaccine) প্রদান কর্মসূচি। গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে একটি জেলায় যত টিকা দেওয়া হবে, তা যেন কেবল একটি উৎপাদক সংস্থার তৈরি টিকা হয়।
প্রথম দফায় চার শ্রেণির ব্যক্তিদের এই টিকা দেওয়া হবে। তারা হলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির যোদ্ধা, ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, ফুসফুসের রোগ এবং অন্যান্য কোমরবিডিটি আক্রান্ত যেকোনো বয়সের ব্যক্তিদের। ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হবে ৫০ বছরের বেশি বয়স্কদের শনাক্ত করতে। আধার, পেনশন কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি নেওয়া হবে প্রামাণ্য নথি হিসেবে।
নির্দেশিকায় বলা আছে, এরকমও হতে পারে কিছু টিকা আসবে এক্সপায়ারি ডেট ছাড়া। কিন্তু, সেগুলিকে ব্যবহার করতে হবে। সমস্ত খোলা ভায়াল প্রতি সেশনের পর নষ্ট করে ফেলতে হবে। কোভিড টিকা প্রদান কর্মসূচির অন্যতম নীতি হল রুটিন টিকাকরণে কোনও সমস্যা সৃষ্টি না করা। এজন্য বেসরকারি ক্ষেত্রকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণও প্রদান করা হবে।
চুরি রুখতে কঠিন পদক্ষেপ
যেহেতু এই টিকার চাহিদার তুলনায় যোগান কম, তাই, এই টিকা যেন কোনোভাবে চুরি না হয় বা, এই টিকা কোনোভাবে বেহাত না হয়, সেজন্য কড়া নজরদারি চালাতে বলেছে কেন্দ্র।
এই টিকাকরণ ২০টি মন্ত্রক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। ক্রীড়া, গৃহ বিষয়ক, রেল, সংখ্যালঘু বিষয়ক, আবাস, প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ, শ্রম, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন। প্রতিটি মন্ত্রকের কী কাজ, তাও বলা আছে নির্দেশিকায়।
পাঁচ সদস্যের দলে থাকবে একজন ডাক্তার/একজন নার্স/ফার্মাসিস্ট/আইনত স্বীকৃত ইঞ্জেকশন দিতে পারা ব্যক্তি, পুলিশ/হোম গার্ড/ডিফেন্স থেকে একজন, নথি পরীক্ষার জন্য একজন অফিসার এবং অন্য দুজন অফিসার যিনি এনাদের সাহায্য করবেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন।
প্রতি সেশনে ১০০-২০০ জন
প্রাপ্ত জায়গা ও আধিকারিকদের সুলভতার ওপর নির্ভর করে প্রতি সেশনে ১০০-২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে।
যাতে টিকা নষ্ট না হয় নজর রাখা হচ্ছে। প্রতি কেন্দ্রে টিকা প্রাপকদের তালিকার তিনটি করে কপি দেওয়া হবে। ওখানে কোনও স্পট রেজিস্ট্রেশন হবে না। দুইগজের দূরত্ব রাখতে হবে সবসময়।