গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ১০ লক্ষ মাস্ক তৈরি করবে সরকার
করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার (Ganga Sagar Mela) জন্য ১০ লক্ষ মাস্ক তৈরি করা হবে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথান। জানা গিয়েছে, একাধিক প্রকারের মাস্ক তৈরি করা হবে। প্রত্যেকটিতেই করোনার স্বাস্থ্যবিধিকে কেন্দ্র করে নানা সচেতনামূলক বার্তা থাকবে। যে-সমস্ত পুণ্যার্থী বিনা মাস্কে আসবেন, গঙ্গাসাগরে এগুলি তাঁদের মধ্যে বিলি করা হবে। এছাড়াও যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনেই মেলা পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর থেকে ২ লক্ষ মাস্ক (Mask) নেওয়া হবে। এছাড়া ডায়মন্ডহারবার, কুলপি এবং আলিপুর সদরের ১৯টি ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৫০ হাজার করে মাস্ক তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত বাংলা ও হিন্দি ভাষায় মাস্কের উপর নানা বার্তা লেখা হবে। যেমন সর্বদা মাস্ক পরে থাকুন, দু’জন ব্যক্তির মধ্যে দু’ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন, জ্বর সর্দি কাশি হলে কাছাকাছি স্বাস্থ্য শিবিরে পরীক্ষা করান ইত্যাদি সচেতনামূলক বার্তা থাকছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ স্যানিটাইজার তৈরি করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে সেসবও বিলি করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।
এদিন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে শিশির মঞ্চে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে ডিভিশনাল ম্যানেজারের উপস্থিতিতে গোটা মেলার প্রস্তুতি এবং কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার অন্তত আটটি ভাষায় পারদর্শী এমন স্বেচ্ছাসেবকদের রাখা হবে। কারণ হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও দক্ষিণ ভারত থেকেও একটা বিরাট অংশের মানুষ গঙ্গাসাগরের আসেন। তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া ভাষায় পারদর্শী ব্যক্তিদের নিযুক্ত করা হবে এবারের মেলায়।
এদিন জেলাশাসক আরও জানান, ড্রেজিংয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবার যেভাবে কাজ হয়েছে তাতে মেলার সময় সারা দিনে অন্তত কুড়ি ঘণ্টা সময় পাওয়া যাবে। এই সময়কালে ভেসেল বা বার্জ নদীর এপার-ওপার করতে পারবে। গতবার সেটা ১২-১৩ ঘণ্টা ছিল। করোনাকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে অন্তত পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও গোটা মেলাজুড়ে এবার অন্তত ১০ হাজার অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ইতিমধ্যেই সাগরে কপিলমুনির আশ্রমে পুণ্যার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসকের কথায়, এর জন্য এখন অতিরিক্ত ভেসেল চালাতে হচ্ছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মেলায় থাকার জন্য নানা বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন।