রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শুভেন্দুর ‘বহিরাগত’ ও ‘দলতন্ত্রে’র কটাক্ষের জবাব দিলেন ব্রাত্য বসু

December 16, 2020 | < 1 min read

হলদিয়ার সভা থেকে মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ‘বহিরাগত’ও ‘দলতন্ত্র’ কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বিজেপি ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের ভুল ব্যাখ্যা করছে বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের যে বিস্তার ঘটেছে, সেখানে অবাঙালিদের একটা ভূমিকা আছে। জ্ঞানসিংহ সোহনপাল, বিড়লা পরিবার, গোয়েঙ্কা পরিবারের যে অবদান রয়েছে বাংলার জন্য, তা আমরা ভুলতে পারি না। তবে বহিরাগতদের সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই ভাল বাংলা বলতে পারেন। কিন্তু বহিরাগতরা বাংলা ভাষাকে ঘৃণা করেন।’’

মঙ্গলবার হলদিয়ায় শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সমীহ করতেন। সতীশ সামন্ত, নেহরুকে কোনওদিন বহিরাগত বলেননি। আর নেহেরুও, সতীশ সামন্তকে অ-হিন্দিভাষী মনে করতেন না। আমাদের সকলের আগে পরিচয় আমরা ভারতবাসী, তারপরে বাঙালি।’’ শুভেন্দুর ওই কথার প্রেক্ষিতেই সরব হন ব্রাত্য। তবে শুভেন্দুকে আক্রমণ না করে বিজেপি-র সমালোচনা করেন তিনি। ব্রাত্য প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বাংলাকে ১০টি জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। ১০ জন পর্যবেক্ষক বসিয়েছে। সেখানে কোনও ভূমিপুত্র নেই কেন? সম্প্রতি বিহারে নির্বাচন হল। এ রাজ্যে যাঁরা বিজেপি, আরএসএস (RSS) করেন তাঁদের এক জনকেও কেন সেখানে পাঠানো হল না? এত বাংলাবিদ্বেষ কেন? নিরামিষাশী নয় বলে? মাছ-মাংস খায় বলে?’’ ব্রাত্যের দাবি, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেবে।

তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়ে ব্রাত্য আরও বলেছেন, ‘‘বহিরাগত বলতে আমরা সেই সব লোককে বলছি, যাদের এখানে পাঠানো হয়েছে। এমন বর্গি, হানাদারদের পাঠানো হচ্ছে, যারা বাংলা বলতে চায় না। বাঙালি সংস্কৃতি জানে না। রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বোলপুর বলে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল (Trinamool) জমানায় অনেক অবাঙালিরা এ রাজ্যে আনন্দে, শান্তিতে ও নিরাপদে আছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#suvendu adhikari, #Bratya Basu

আরো দেখুন