রাজ্যের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মর্তে হাজির ‘শিব-পার্বতী’!
উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে স্বর্গ ছেড়ে যেন মর্তে হাজির ‘দেবদেবী’রা! ‘শিব-পার্বতী’র হাতে রাজ্যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের ফিরিস্তি। কার্ড হাতে দেখা যাচ্ছে ‘মহিষাসুর’ কিংবা ‘নারদ’কেও! আসলে এই ‘দেবদেবী’রা সকলেই রক্তে-মাংসে গড়া মর্তের মানুষ। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লকের বাউড়িয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এক ঝলক দেখলে বেকুব বনে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিছুটা ধাতস্থ হলে অবশ্য বোঝা যায়—গোটা কর্মকাণ্ডটাই আদতে শাসক তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচি (Banga-Dhwani Yatra)। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের ছোঁয়ায় সেই কর্মসূচি রীতিমতো বর্ণাঢ্য।
রাজ্যের উন্নয়ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে গোটা রাজ্যে এই কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। রিপোর্ট কার্ড (Report Card) পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। এদিন উলুবেড়িয়া পূর্ব তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) তাদের ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচি পালনে কাজে লাগিয়েছিল জেলার প্রাচীন লোকপ্রসার শিল্পের সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীদের। নৃত্য সহযোগে পৌরাণিক কাহিনীর আঙ্গিকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেন তাঁরা।
রাজ্য তথা হাওড়া জেলার অন্যতম প্রাচীন লোকশিল্প কালিকাপাতাড়ি। বাম আমলে এই শিল্প ছিল চরম উপেক্ষিত। বঞ্চিত ছিলেন শিল্পীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারের বিভিন্ন প্রচারের কাজে লাগানো হয় লোকশিল্পকে। ফলে একদিকে, মনোরঞ্জনের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের প্রচার করা সহজ হচ্ছে। অন্যদিকে, বর্তমান প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্প। কলাকুশলীদের পরিচিতি বাড়ছে। এদিন বাউড়িয়ার এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাঁদের উন্নয়ন প্রচার করতে দেখা যায়। পাশাপাশি রাজ্যের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে অবহিত করেন তাঁরা। প্রচারের ফাঁকে শিল্পীরা বলছিলেন, ‘সরকার আমাদের নতুন দিশা দেখিয়েছে। এভাবে উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি রয়েছে।’ কী বলছেন তৃণমূল নেতারা? উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ও বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিকে নতুন মাত্রা দিতে এই উদ্যোগ। তাতে কর্মসূচির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। লোকশিল্পীরাও তাঁদের দক্ষতা তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পেয়েছেন।’