শীত পড়তেই শহরের বাজারে হিট নলেন গুড়
আজ পয়লা পৌষ। ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ উপভোগ করছেন মানুষ। আর এই সময় ভোজনরসিক বাঙালির পাতে হরেক রকমের শাকসব্জি, পিঠেপুলির সঙ্গে অপরিহার্য খেজুড় গুড়ের পাটালি বা নলেন গুড়। কয়েক বছর আগেও কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খেজুর গুড়ের চাহিদা গত কয়েকদিনে হয়েছে দ্বিগুণ। কারণ শীতের আমেজে স্বাদে-গন্ধে খেজুর গুড় অতুলনীয়। দাম এবং মানের সামঞ্জস্য রাখার টানাপোড়েনের জেরে পরিস্থিতির কিছুটা বদল এসেছে। তবে এখনও শহরে পাটালির চাহিদা যথেষ্ট।
এ বছর ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই শীতের দেখা মিলেছে। আর তাই বাজারে এসে গিয়েছে খেজুর গুড়। শীতের তারতম্যের উপরেই খেজুর গাছ থেকে ভালো রস পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। শীত পড়লে গাছ থেকে ভালো রস মেলে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মূলত কৃষক পরিবারের সদস্যরা খেজুর গাছ কেটে রস বার করে তা নিয়ে এসে জ্বালিয়ে গুড় তৈরির কাজ করে থাকেন। বসিরহাট, হাসনাবাদ, বাদুড়িয়া , স্বরূপনগর, হাড়োয়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে কৃষক পরিবার খেজুর গুড় তৈরির কাজ করে। আর তারপর সকাল হলেই শহরের অলিগলিতে সাইকেলে করে ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গুড় ফেরি করতেন। কিন্তু কয়েক বছর হল গুড় ব্যবসায়ীদের দেখা মেলে না। তবে শীত বেশি পড়ায় শহরের বাজারগুলিতে হাতে গোনা কয়েক জন গুড় পসারির দেখা মিলছে।
মান আনুযায়ী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে মিলছে খেজুরের পাটালি। গুড়ের দামের তারতম্যের কারণ, খেজুর রস জ্বাল দেওয়ার সময় তাতে মেশানো চিনির পরিমাণ এবং শীতের তারতম্য। তা ছাড়া, অ্যালুমিনিয়ামের ট্রেতে জ্বাল দিয়ে দ্রুত তৈরি করা গুড়ের মান কখনও নাকি কড়ায় ঢিমে আঁচে জ্বাল দেওয়া গুড়ের তুলনীয় হয় না।