দেশ বিভাগে ফিরে যান

জানেন ভারতীয় সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

December 18, 2020 | 2 min read

১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবস। জাতিসংঘ ১৯৯২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঘোষণা করে যে, প্রতি বছর এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এখানে সংখ্যালঘু বলতে জাতিসংঘ বলেছে, ধর্মীয়, ভাষাগত, জাতিগত ও সংস্কৃতিগত সংখ্যালঘুদের বুঝিয়েছে।

জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশ নিজের ভূখণ্ডের সীমার মধ্যে ধর্মীয়, ভাষাগত, জনগোষ্ঠীগত, সংস্কৃতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থকে রক্ষা করবে এবং তাদের পরিচিতির প্রকাশ ও উন্নয়ন ঘটাতে উৎসাহ দান করবে। বহু আগেই জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদে সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা বলা হয়। 

জাতিসংঘ তার মানবাধিকার সনদের ৩০ নম্বর ধারায় এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির ২৭ নম্বর ধারায় ধর্মীয়, ভাষাগত, জাতিগোষ্ঠীগত ও সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘু জনগণের অধিকারের বিষয়টিকে নিশ্চিত করার কথা বলেছে।

আসুন জেনে নিই ভারতীয় সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্বন্ধে কিছু তথ্য:

ভারতীয় সংবিধানের ১২ থেকে ৩৫ নম্বর ধারাতে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে, মহান উদ্দেশ্য নিয়ে সংবিধান পিছিয়ে পড়া জাতী উপজাতি মহিলা ও শিশুদের অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

সংখ্যালঘুদের অধিকার সংবিধানে দুই ভাবে বলা হয়েছে ১. সকল নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ২. শুধুমাত্র সংখ্যা লঘুদের জন্যে ( এর মধ্যে সংখ্যা লঘুদের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে সংবিধানের ১৫, ১৬, ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর ধারার মধ্যে )

সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ ভাবে যেগুলো বলা হয়েছে:

  • নাগরিকদের যে কোনো অংশে তাদের বিশেষ ভাষা, হরফ এবং সংস্কৃতির অধিকার থাকবে — ধারা ২৯ ( ১)
  • সরকার পোষিত বা পরিচালিত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম, জাতি বা ভাষার কারনে কোনও নাগরিক কে ভর্তির বিষয়ে বৈষম্য করবে না — ধারা ২৯ (২)
  • সকল ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যা লঘুদের অধিকার থাকবে তাদের পছন্দ মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা ও পরিচালনা করা —ধারা ৩০ (১)
  • রাস্ট্র অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য করবে না এই কারণে যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যা লঘু (ধর্মীয় বা ভাষাগত) পরিচালিত, অর্থাৎ সংখ্যা লঘু পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকার থাকবে সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে –ধারা ৩০ (২)
  • বিশেষ কোনও ভাষার কথা বলা কোনও রাজ্যের অধিবাসীদের বিশেষ সংরক্ষণ পাওয়ার অধিকার থাকবে (রাস্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষ) —ধারা ৩৪৭
  • প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার থাকবে —-ধারা ৩৫০ এ
  • ভাষাগত সংখ্যা লঘুদের বিষয় দেখার জন্য একজন বিশেষ আধিকারিক থাকবে —-ধারা ৩৫০ বি
  • শিখ সম্প্রদায়ের অধিকার থাকবে “কৃপাণ রাখা ও ধারন করার ” —-ধারা ৫ ব্যাখ্যা – ১
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Indian Constitution, #Minority Rights

আরো দেখুন