পিএম কেয়ার ফান্ডের সিএজি অডিট চাই: তৃণমূল
“আমরা প্রশ্ন করতে চাই জনগণের অর্থে তৈরি পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা কোথায় গেল? আমরা এর সিএজি অডিট চাই। জনগণের টাকা নয়ছয় করছে বিজেপি সরকার”। তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে (BJP) এভাবেই শক্ত ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)।
তিনি বললেন, “বিজেপির একটাই টার্গেট মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। বিগত ৪৫ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে আছেন। এই দলের কর্মীরা মানুষের পাশে থাকেন। তাই মানুষ দুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় এনেছে। তাই বিজেপি ভীত”।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংসদ এদিন বলেন, “প্রবীণ নাগরিকরা ব্যাঙ্কে আর আগের মতো সুদ পান না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এমন বেড়েছে যে মানুষ সংসার চালাতে পারছেন না। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে বিজেপি। সব সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। ৮ মাস হল বিএসএনএল- এর কর্মীরা ৮ মাস হল মাইনে পাচ্ছেন না। কলকাতায় টিবোর্ড, কোলইন্ডিয়ার অফিস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে”।
ভারতবর্ষকে ‘কান্ট্রি অন সেল’ বলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “বিজেপি দেশের যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের চাপে রাখতে বদলির নির্দেশ দিচ্ছে”।
বিজেপির দল ভাঙার রাজনীতি সম্পর্কে এদিনের বৈঠকে কাকলী দেবী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অন্যায়ের বিরূদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁকে ভয় দেখানো যায় না। এতো বছরেও বিজেপি রাজ্যে একটি নেতা তৈরি করতে পারেনি। তাই অন্য দল থেকে ধার করতে হচ্ছে”।
দলত্যাগী নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কিছু ক্ষমতা লোভী নেতাকে ভয় দেখিয়ে নিজের দলে টানা হচ্ছে। এই ব্যভিচারী নেতারা চলে গিয়ে দলকে আরো শক্তিশালী করে যাচ্ছেন। যেসব নেতারা ভাবছেন বিজেপিতে গেলেই জিতে যাব, তাদের ভাবা উচিৎ বাংলার মানুষ বেইমানি পছন্দ করেন না।”
বিজেপির হোর্ডিং কান্ডে কথা বলতে গিয়ে এদিন সাংসদ বলেন, “রবীন্দ্র ভারতীর হোর্ডিং- এ রবীন্দ্র নাথের ছবি নীচে আর বিজেপি নেতার ছবি ওপরে। বাঙালি এই অপমান মেনে নেয় না। ওরা রবীন্দ্র নাথ, বিরসা মুন্ডা, বিদ্যাসাগরকে চেনে না, বাংলা বলতে পারে না। বাংলা দখল করতে এসেছে। কারণ অন্যায়ের বিরূদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ওরা থামিয়ে দিতে চায়”।
আর সবশেষে সাংসদ দলের পক্ষ থেকে কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।