তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে জিতলে অভিনন্দন জানাব: কাকলি
রাজনৈতিক চেতনার অধঃপতন হয়েছে, তাই কিছু নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাচ্ছেন। নাম না করে দলত্যাগীদের উদ্দেশে এমনটাই বললেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ( Kakoli Ghosh Dastidar)। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
কাকলি বলেন, ‘‘যাঁদের রাজনৈতিক চেতনার অধঃপতন হয়েছে তাঁরাই বিজেপি-তে (BJP) যাচ্ছেন। তাঁরা ভাবছেন, বিজেপি-তে গেলে হয়তো জিতে যাবেন। কিন্তু ভুল ভাবছেন। বিজেপি-র মতো ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক দলকে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁরা আদর্শচ্যুত হয়েছেন। বুঝে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকলে তাঁদের অস্বচ্ছতা প্রকাশিত হবে। সেই কারণে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল তাঁদের টিকিট দিত না, তাই বিজেপি-তে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন ওঁরা।’’
শুভেন্দু অধিকারী দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়। একে একে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও শীলভদ্র দত্তের মতো তৃণমূল (Trinamool) নেতারা। ‘বেসুরো’ অবস্থায় রয়েছেন আরও অনেক নেতা। তবে তাঁরা কেউই এখনও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেননি। এঁদের বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই নেতাদের উদ্দেশে কাকলির মন্তব্য, ‘‘যাঁরা মনে করছেন বিজেপি-তে গেলেই জিতে যাব, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। যে দল সব কিছু দিল সেই দলের সঙ্গে বেইমানি বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না। আসা-যাওয়ার মধ্যে টেবিলের তলায় কী দেনা-পাওনা হল বাংলার মানুষ সব জানে।’’ এত বছরে পশ্চিমবঙ্গে কোনও নেতা তৈরি করতে পারেনি বলেও গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন কাকলি। তাঁর মতে, ‘‘এত বছরে ওঁরা বাংলায় নেতা তৈরি করতে পারলেন না। যার কারণে বিপুল টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশৃঙ্খল দল ভাঙাতে হচ্ছে।’’
রাজ্যের তিন আইপিএস (IPS) অফিসারকে কেন্দ্রের ডেপুটেশনে নেওয়া প্রসঙ্গেও মোদী সরকারের সমালোচনা করেন কাকলি। তিনি জানান, মোদী সরকারের অনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সবথেকে বেশি সরব হন বলে তাঁকে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই অফিসাররা যদি ভুল করে থাকেন, তবে তাঁদের এক জনকে সীমান্তে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন।’’ বৃহস্পতিবার পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা কোথায়, কী ভাবে খরচ হয়েছে তারও অডিট করার দাবি তোলেন তিনি।