দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি কৃষকদের
‘করোনায়(Corona) ভয় নেই। বেশি আতঙ্ক কৃষি আইনকে(FarmBill) নিয়েই। তিনটি কৃষি আইন আমাদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানা। তা যতদিন পর্যন্ত বাতিল না হচ্ছে, ততদিন এভাবেই আন্দোলন(FarmersProtest) চালিয়ে যাব।’ ফের সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারী কৃষকেরা(Farmers)। আন্দোলনের ২৩ দিনেও নিজেদের অবস্থান থেকে কৃষকদের এক ইঞ্চিও টলাতে না পেরে আরও কোণঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার(Central Government)। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও এককাট্টা হয়েই লড়াইয়ের সাফল্য খুঁজতে মরিয়া হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ট্রাক্টরের পিছনে পণ্য পরিবহণের জন্য নির্দিষ্ট অংশেই প্রস্তুত হচ্ছে কৃষকদের শয্যা। কনকনে ঠান্ডায় রাত কাটিয়েই আন্দোলনের উত্তাপ পোহাচ্ছেন বিক্ষোভরত কৃষকেরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকেরা ইতিমধ্যেই সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পরবর্তী ছ’মাসের রসদ মজুত আছে। শুক্রবার দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানা(Singhu Borders), দিল্লি-রোহতক করিডরের (Delhi Rohtak Corridor),তিক্রি সীমানা(Tikri border), দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানায় একই হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আরও বেশি অস্থায়ী তাঁবু তৈরির কাজও শুরু করেছেন তাঁরা। বলেছেন, ‘ঠান্ডার মোকাবিলা করতেই এরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’ এই প্রসঙ্গে এদিন সর্বভারতীয় কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেছেন, ‘দিল্লিতে(Delhi) রাতের তাপমাত্রা প্রায় শূন্য ডিগ্রিতে নেমে যাচ্ছে। সেই কনকনে ঠান্ডায় কৃষকরা রাত কাটাচ্ছেন। অথচ সরকার মানবিক দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টিকে দেখছে না। পরিবর্তে কৃষকদেরই দোষারোপ করা হচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে, আন্দোলন রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে খলিস্তানি, মাওবাদীরা মিশে রয়েছে। আবার অভিযোগ করা হচ্ছে, কৃষকরা ভারতীয় সেনাদের খাবার পৌঁছতে দিচ্ছে না। কোনও অভিযোগেরই সারবত্তা নেই। এই আন্দোলনে রাজনীতির প্রভাব নেই।’
কৃষকদের অভিযোগ, মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ চাষি আত্মহত্যা করেছেন। অসংখ্য মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কেন্দ্রকে খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটিও। কৃষকদের উৎসাহ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে শুক্রবারই এই আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছেন চিপকো আন্দোলনের নেতা সুন্দরলাল বহুগুণা। ১১ দিন ধরে প্রায় হাজার কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দিয়ে তিক্রিতে পৌঁছেছেন বিহারের সত্যদেব মাঝি। সিংঘুতে এদিনই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর(Swata Bhasker)। কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, তারা আদালতে যাওয়ার পক্ষপাতী নয়।