সারদা মামলা থেকে বাঁচতেই কি শুভেন্দুর এই দল বদল!
সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সারদার (Saradha) কর্ণধার সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লেখেন। সুদীপ্ত চিঠিতে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের প্রথম সারির পাঁচ জন নেতার বিরুদ্ধে তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে শুভেন্দু অধিকারির নাম। যদিও সেই অভিযোগের সোজা সাপটা বিরোধিতা করে তদন্তের দাবিতে সিবিআইকে পাল্টা চিঠি লেখেন শুভেন্দু।
কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারিতে শুভেন্দুর নাম কিন্তু এই প্রথম জড়ায়নি। এর আগেও সারদা কান্ডে সিবিআই- এর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে এই নেতাকে। সারদার এক উচ্চপদস্থ কর্মী অরবিন্দ সিং চৌহান অভিযোগ করেন ২০১৩ সালে একাধিকবার তৎকালীন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের বৈঠক হয়েছে। তার সাথেই হয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনও। আর সেই জন্যেই সিবিআই ২০১৪ সালে তলব করে শুভেন্দু বাবুকে। বিভিন্ন দলের আরো নেতাদেরও তলব করা হয়। কিন্তু সূত্রমতে পরবর্তীতে অরবিন্দ বাবুকে টাকার লোভ দেখিয়ে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করানো হয়। এছাড়াও শোনা যায় গৌতম কুন্ডুর স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কেও লিপ্ত হয়ে পড়েন ওই উচ্চপদস্থ অফিসার।
সম্প্রতি সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে সেই অভিযোগই আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আবার সিবিআই- এর কুনজরে চলে আসেন শুভেন্দু। এবার নিজের আদর্শগত অবস্থান খুব দ্রুতই বদলে ফেললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামি ১৮ই ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু বাবু। এখন প্রশ্ন উঠছে সিবিআই (CBI)- এর হাত থেকে বাঁচতেই কি শুভেন্দুর এই পদক্ষেপ? ঠিক যেভাবে সারদা মামলার হাত থেকে বাঁচতে মুকুল রায় গিয়ে ঢুকেছিলেন বিজেপি দুর্গে! এ কি ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি!
কেন বার বার দোষীদের আশ্রয় দিচ্ছে এই দল? কেন অপরাধীদের বার বার আইনের হাত থেকে বাঁচতে এই দলে যেতে হচ্ছে! আর সত্যিই তারা বেঁচেও যাচ্ছেন। তাহলে আইন ব্যবস্থাকেও কি প্রভাবিত করছে বিজেপি!