ত্রিপুরায় পিছোল পুরভোট, করোনা না ‘হারের ভয়’
ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১টি পুর নিগম, ১৩টি পুর-পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছে। তাদের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, দলীয় কোন্দলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমারদেবের (Biplab Kumar Deb) গদি টলমল। এই পরিস্থিতিতে তাঁর সরকার নির্বাচনের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে। বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সিপিএমের পশ্চিম জেলার সম্পাদক পবিত্র করের কথায়, “ত্রিপুরা (Tripura) বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দলেজেরবার। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে টানাটানি চলেছে। তাই এখন আর কোনও নির্বাচনে যেতে সাহস পাচ্ছেনা। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হল সে কারণেই।” পবিত্রবাবুর অভিযোগ,বিহারের মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রচার করেছেন। কেরল, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং হায়দরাবাদে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন হয়েছে। ত্রিপুরার ক্ষেত্রেই শুধু বিজেপি সরকার করোনার বাহানা দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে।
কংগ্রেসের সহসভাপতি তাপস দে জানিয়েছেন, শীঘ্রই নির্বাচনের ঘোষণা করা না-হলে তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পুর নির্বাচন স্থগিত করেছিল। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তা হচ্ছে। বিপ্লব দেব এখন নিজেই দিশাহারা। তিনি শুধু নিজের চেয়ার সামলাতে ব্যস্ত। সম্প্রতি জনরোষের কারণে ধানখেত দিয়ে দৌড়ে গিয়ে হেলিকপ্টারে উঠে চলে আসতে হয়েছে তাঁকে। এই হচ্ছে তাঁরও বিজেপির জনপ্রিয়তার ছবি।” তাপসবাবুর মতে,“মানুষ তাঁদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বুঝে গিয়েছেন। এ জন্যই বিপ্লব দেব নির্বাচনে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। করোনার অজুহাতে বাঁচতে চাইছেন।”
বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের বক্তব্য,“রাজ্য নির্বাচন কমিশন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে এবং সেই অনুযায়ী নির্বাচন স্থগিত রেখেছে।আমরা এখনই কিছু বলব না। সময় যখন আসবে,তখনই দেখা যাবে নির্বাচনে কে জেতে।”