আমাকে মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া থেকে লোক আনতে হয় না: শাহের রোড শো–কে কটাক্ষ অনুব্রতর
রবিবার বিকেলে একদিকে যখন বোলপুরের ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত অমিত শাহের রোড শো চলছে তখনই বোলপুরের আর এক প্রান্ত কালিকাপুরে তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র আয়োজন করেন অনুব্রত মণ্ডল। দুই মিছিলেই ছিল কাতারে কাতারে লোক। কিন্তু বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি দাবি করেন, অমিত শাহের মিছিলে সহ লোক এসেছে বাইরের জেলা থেকে। একইসঙ্গে এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পাগল বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিন বোলপুর কালিকাপুরে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র বিশাল মিছিল চলাকালীন বিজেপি–কে আক্রমণ করে অনুব্রত বলেন, ‘আমি এখানে জনসভা করলে আমার জেলার লোক নিয়ে করি। আমাকে মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান থেকে লোক আনতে হয় না। ওরা এইসব জেলা থেকে লোক এনে ভিড় দেখাচ্ছে।’ অমিত শাহের রোড শো–কে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, ‘এই যে রোড শো, জনসভা দেখাচ্ছে— এ সব আমার কাছে ছোট জিনিস। আমার লক্ষ লক্ষ লোক আনার ক্ষমতা আছে। বাইরের জেলা থেকে কোনওদিন লোক আনি না।’
অনুব্রত এদিন দাবি করেন, ‘৪ জানুয়ারি থেকে আমার জনসভা শুরু হবে। ব্লক অনুযায়ী ৮০ হাজার করে লোক করব।’ কিন্তু কাকতালীয়ভাবে বোলপুরেই এদিনের ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ কি অমিত শাহয়ের রোড শো–র পাল্টা? এর উত্তরে অনুব্রত মণ্ডলের জবাব, ‘না। এটা আমাদের কন্টিনিউয়াস প্রসেস। এটা আমরা বরাবরাই করব। এক–একদিন এক–একটা ওয়ার্ডে হবে।’
এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অমিত শাহয়ের উপস্থিতিকে ভাল নজরে দেখেননি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ‘রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এর আগে কখনও রাজনীতি হয়নি। এই প্রথম সেখানে রাজনীতি ঢুকল।’ অমিত শাহের নাম না করে অনুব্রতর চ্যালেঞ্জ, ‘তিনি ১০০ বার আসুক। মিটিং মিছিল করুক। আমরা প্রস্তুত।’ একইসঙ্গে এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পাগল বলে কটাক্ষ করেছেন অনুব্রত। তাঁর কটাক্ষ, ‘তিনি তো দল করতে এসেছেন। উপাচার্য বিজেপি করেন। ও তো পাগল লোক। ওর মাথার কিছু ঠিক নেই।’