কনফার্মড টিকিট নিয়ে রেলের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
সব যাত্রীকে কনফার্মড টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিল রেলমন্ত্রক। আগের অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে রেল বোর্ড। তাদের নতুন ব্যাখ্যা, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। যার জেরে স্বাভাবিক নিয়মেই কমবে ওয়েটলিস্টের যাত্রীর সংখ্যা। এর সুফল পাবেন সাধারণ রেলযাত্রীরা। এর আগে একাধিকবার রেল বোর্ডই জানিয়েছিল, এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে, যাতে ২০২৪ সালের পর আর কোনও যাত্রীকেই ওয়েটলিস্টের টিকিট কাটতে না হয়। প্রত্যেক যাত্রী যাতে কনফার্মড টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন, তা দেখা হবে। প্রত্যাশিতভাবেই রেলমন্ত্রকের শনিবারের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ যাত্রীদের একটি বড় অংশ। তাদের প্রশ্ন, রেলের কাছে যদি যথাযথ পরিকাঠামোই না থাকে, তাহলে কীসের ভিত্তিতে তারা একের পর এক ঘোষণা করে চলেছে?
রেল যাত্রায় কনফার্মড টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে একটি অন্যতম বড় সমস্যা। তা রেলমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদেরও মাথাব্যথার কারণ। প্রাক-করোনা পর্বে এই ওয়েটলিস্টের টিকিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে রেলকে। এমনকী সমস্যা থেকে রেহাই মেলেনি বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতেও। স্বাভাবিক ট্রেন না চললেও যেসব বিশেষ দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেন চালাচ্ছে রেলমন্ত্রক, তার মধ্যে কয়েকটি রুটে এই ওয়েটলিস্টের সমস্যায় জেরবার হতে হচ্ছে রেল বোর্ডকে। যেহেতু এই মুহূর্তে দূরপাল্লার ট্রেনে অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যাচ্ছে না, তাই কয়েকটি রুটে সমস্যা প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে। সুরাহার উদ্দেশ্যে রেল বোর্ড ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রুটগুলিতে ক্লোন ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রেল যাত্রীদের একটি বড় অংশের আশা ছিল, সম্ভবত আর বছর চারেকের মধ্যে এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান মিলতে চলেছে। কিন্তু রেলমন্ত্রকের এদিনের ব্যাখ্যায় সেই সম্ভাবনাও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এদিন রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়েটলিস্ট একটি প্রক্রিয়া। একটি ট্রেনে যেক’টি আসন বা বার্থ রয়েছে, তার থেকে যাত্রী সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে ওয়েটলিস্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোনওমতেই সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে ফেলা সম্ভব নয়। বরং যাত্রী চাহিদা মেনে আগামীদিনে আরও বেশি ট্রেন চালানোর চেষ্টা করবে রেল। যার ফলে ওয়েটলিস্টের টিকিট ক্রমশ কমবে। অর্থাৎ, সব যাত্রীই কনফার্মড টিকিট পাবেন, এমন ঘোষণা করা রেলের পক্ষে সম্ভব নয়। যাত্রী চাহিদা মেনে কীভাবে বৃদ্ধি করা হবে দূরপাল্লার মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা? রেল বোর্ড সূত্রের ব্যাখ্যা, ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ শেষ হয়ে গেলে মালগাড়ি চলাচলের জন্য আলাদা পণ্যবাহী করিডর খুলে যাবে।