সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোয় সবুজ সাথীকে তুলে ধরতে উদ্যোগী রাজ্য
রাষ্ট্রসঙ্ঘে সম্মানিত ‘সবজু সাথী’কে সামনে রেখেই সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি তুলে ধরতে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। সেই মতো ট্যাবলোর মডেল তৈরি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে যোগও দিচ্ছেন রাজ্যের অফিসার। কিন্তু শেষমেশ তা চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ব পার করে ২৬ জানুয়ারি রাজপথে প্রদর্শন হবে কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই।
কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী আর জল ভরো জল ধরো, গতবার এই তিনটি প্রকল্পকে নির্বাচন কমিটির সামনে পেশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছিল, শেষেরটি নিয়ে তৈরি হন। সেই মতো রাজ্য মডেল তৈরি করে এগয়। কিন্তু শেষমেশ তাও বাদ পড়ে যায়। কারণ দর্শানো হয়েছিল, কেন্দ্রেরও এ ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। তাই ব্যতিক্রম কী? রাজ্যের নিজস্বতা কোথায়? যদিও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা ছিল, তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন বলেই সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো থেকে বাদ পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। তাই এবার সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের বিনামূল্যে দু’ চাকার সাইকেল দেওয়ার ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের ট্যাবলোকে কেন্দ্র ছাড়পত্র দেবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। বুধবার ২৩ তারিখ নির্বাচন কমিটির পরবর্তী বৈঠক রয়েছে। তাই দেখার কী করে মোদি সরকার। সামনে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021)। গতবারের মতো শেষ মুহূর্তে বাদ দিয়ে বিতর্ক বাড়াবে, নাকি অনুমোদন মিলবে?
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর স্কুল ছুটের হার কমানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ‘সবুজ সাথী’ (Sabooj Sathi)প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু হয় সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের বিনা পয়সায় সাইকেল দেওয়া। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার স্কুলে এক কোটি পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৫৩ শতাংশ বালিকা। এই প্রকল্পের জেরে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়ার হার আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। নবম শ্রেণীতে ভর্তির আগ্রহ বেড়েছে ১২ শতাংশের। সামাজিক উন্নয়নের এই উদ্যোগকেই ২০২০ সালে সম্মান জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ কর্মসূচি ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি।’ তাই এখন দেখার ভোট মরশুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ফ্ল্যগশিপ প্রকল্পকে দিল্লির রাজপথে তুলে ধরার সুযোগ কেন্দ্রীয় সরকার দেয় কি না।