দেশ বিভাগে ফিরে যান

কাশ্মীর নির্বাচনে এগিয়ে গুপকর জোট

December 23, 2020 | 2 min read

ভোটে জিততে দলের তাবড় নেতাকে ময়দানে নামিয়েছিল গৈরিক বাহিনী। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পর্ষদের (ডিডিএ) নির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেল বিরোধী গুপকর জোট (Gupkar Alliance)। ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় পিপল’স অ্যালায়েন্স অব গুপকর ডিক্লারেশন (পিএজিডি) এগিয়ে রয়েছে ১০৮টি আসনে। ৬০টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২২টি আসনে। প্রত্যাশা মতোই জম্মু ডিভিশনে বিরোধী জোটের থেকে ভালো ফল করছে বিজেপি। তবে কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে বিরোধী জোট। যদিও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উপত্যকায় এই প্রথম খাতা খুলল বিজেপি। কমিশন সূত্রে খবর, শ্রীনগরের খোনমো-২ আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আইজাজ হোসেন। বান্দিপোরার তুলাইল আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী আইজাজ আহমেদ খান। উপত্যকার আরও একটি আসনে বিজেপির এগিয়ে থাকার খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, গত বছর বিশেষ মর্যাদা খারিজ হওয়ার পর এই প্রথম ভোট হল জম্মু ও কাশ্মীরে। স্বাভাবিকভাবেই ডিডিএ নির্বাচনের ফলের উপর চোখ রেখেছে গোটা দেশ। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্ত প্রথমবার পরীক্ষিত হচ্ছে জনগণের রায়ের মাধ্যমে। অন্তত রাজনৈতিক মহলের তেমনটাই মত।

মোট আট দফায় ২৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ২০টি জেলায় ১৪টি করে আসন রয়েছে। মূলত ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলি এক হয়ে এই গুপকর জোট তৈরি করেছিল। বিজেপি বিরোধী এই জোটে রয়েছে ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স ও মেহবুবা মুফতির পিডিপি সহ উপত্যকার আঞ্চলিক দলগুলি। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ বিরোধী শিবিরের বহু নেতানেত্রীকে মাসের পর মাস আটক করে রাখা হয়েছিল। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রতিবাদেই চিরশত্রু বলে পরিচিত আবদুল্লা ও মুফতির দল এই নতুন জোটের শরিক হয়। পাশাপাশি দুম করে ডিডিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় প্রচার চালানোর কাজটাও সহজ ছিল না। বিরোধী দলগুলির সম্মিলিত এই জোটকে ‘গুপকর গ্যাং’ বলে টানা কটাক্ষ করে গিয়েছে বিজেপি।

যদিও ডিডিএ ভোটে সামগ্রিকভাবে বিজেপির থেকে ভালো ফল করল নবগঠিত জোট। তবে তারই মধ্যে কাশ্মীর (kashmir) অঞ্চলে বিজেপির আসন জয় রাজনৈতিকভাবেই খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও নজিরবিহীন ঘটনা। খোনমো-২ আসনে জয়ের পর বিজেপি প্রার্থী আইজাজ হোসেন বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ওরা সবাই এক হয়েছিল (গুপকর জোট প্রসঙ্গে)। তা সত্ত্বেও উপত্যকায় আসন পেল বিজেপি। ওদের এখন আত্ম-বিশ্লেষণ করা উচিত। মানুষ উন্নয়ন চান। এই ফল উন্নয়নের পক্ষে মানুষের রায়। বিজেপির জয় হয়েছে। অপপ্রচারের পরাজয় হয়েছে। মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তাঁর নেতৃত্বের উপর আস্থা দেখিয়েছেন। আঞ্চলিক দলগুলি এক হওয়া সত্ত্বেও কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপি দারুণ লড়াই করেছে। জোটের তরফে সাম্প্রদায়িক প্রচার চলছিল। কিন্তু এখন যে এসবের আর কোনও স্থান নেই, মানুষ তা দেখিয়ে দিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Gupkar Alliance, #Kashmir Election

আরো দেখুন