পাথরপ্রতিমায় হাঁসের হ্যাচারিতে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ
মুরগির দু’টি হ্যাচারি থাকলেও হাঁসের বাচ্চা উৎপাদনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ফলে এতদিন অন্য জেলা থেকেই হাঁসের বাচ্চা এনে উপভোক্তাদের বিতরণ করা হতো। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এবার স্বনির্ভর হয়ে উঠছে এই জেলা। কারণ পাথরপ্রতিমায় একটি হাঁসের বাচ্চার হ্যাচারিকে (Duck Hatchery) সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর তা পাওয়া মাত্রই দ্রুতগতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন শুরু হয়ে গিয়েছে এখানে। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে ৬০০০ করে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে সেই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৫০-৬০ জনকে নিয়ে পাথরপ্রতিমার হেরম্বগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হাঁসের বাচ্চার হ্যাচারির কাজ শুরু হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। সকলেই তাঁদের বাড়ির জমিতেই হাঁসের চাষ শুরু করেন। প্রথম দিকে সামান্য কয়েকটি করে বাচ্চা সরবরাহ করা হতো। কিন্তু লকডাউন (Lockdown) শুরু হতে সেই প্রক্রিয়াও ধাক্কা খায়। এদিকে গোটা রাজ্যে হাঁস ও মুরগির বাচ্চার চাহিদা বাড়তে থাকে। সে কথা মাথায় রেখেই এই জেলার একমাত্র হাঁসের হ্যাচারিকে সরকারি অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি অনুমোদন মেলার পরই জেলার প্রাণিসম্পদ বিকাশ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা শুরু হয়। হাঁসের বাচ্চা লালনপালন কীভাবে করতে হবে, চিকিৎসা প্রক্রিয়া, ওষুধ দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হয়। তাতেই উৎপাদনের হার বাড়তে শুরু করে। গত একমাসে রাজ্য সরকার এই সংস্থার কাছ থেকে ২৮ দিনের ৬০০০টি বাচ্চা কিনেছে। এই খাকি ক্যাম্বেল হাঁসের ২৮ দিনের বাচ্চার প্রতিটির দাম ৬৫ টাকা। বিভাগের সহকারি অধিকর্তা তারাশঙ্কর পান বলেন, জেলা হাঁসের বাচ্চা সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে পারবে। ডিমের চাহিদাও যে হারে বাড়ছে, সেটা পূরণ করতে এই হ্যাচারি সাহায্য করবে।