বাংলার স্বাস্থ্য – শাহের কটাক্ষের জবাব এল ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ডে’র মাধ্যমে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ‘অনুন্নয়নের’ ফিরিস্তি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সে খতিয়ানকে নস্যাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার এদিনই এই পর্বের সবচেয়ে বড় জবাব দিল প্রশাসনিক কাজের স্বীকৃতিতে দেশের অন্যতম নামকরা পুরস্কার ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ (SKOCH Award)। করোনায় পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের চালু করা ‘ইন্টিগ্রেটেড কল সেন্টার’ পরিষেবার জন্য রাজ্য এই পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর থেকে যোগ্য জবাব আর হয় না, একথা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত মমতাও।
করোনা রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, কোভিড পর্বে রোজ শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখা, রোগীর বাড়িতে প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা, বাড়িতে কীভাবে চিকিৎসা হবে, সেই প্রেসক্রিপশন বলে দেওয়া থেকে শুরু করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে চাঙ্গা রাখা—ইন্টিগ্রেটেড কল সেন্টারের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন দলমত নির্বিশেষে লাখো মানুষ। স্বাস্থ্যভবন ও পিজি হাসপাতালে চালু এই কলসেন্টারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসকরা, যাঁদের অনেকেরই অল্প বয়স।
প্রসঙ্গত, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ইন্টিগ্রেটেড কলসেন্টারের মাধ্যমে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ অনলাইনেই চিকিৎসা পেয়েছেন। দু’লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ মানসিক সমস্যার সুরাহা পেয়েছেন। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, এটি টিমের সাফল্য। যার প্রধান মুখ খোদ মুখ্যমন্ত্রী।