রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

খড়দহে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার নেতা, মুক্তির দাবিতে থানায় বিজেপির ‘তাণ্ডব’

December 24, 2020 | 2 min read

এক বিজেপি(BJP)নেতার গ্রেফতারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ(Khardah)। ওই বিজেপি নেতার মুক্তির দাবিতে দফায় দফায় বিটি রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এমনকী খড়দহ থানায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। যদিও বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু(Sayantan Basu) অভিযোগ করেন, ‘আমাদের নেতার থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পুলিশ ওটা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর হাতে দিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের জমানায় পুলিশ রাজনৈতিক দলদাস হয়ে গিয়েছে। আমাদের কর্মীদের উপর ইংরেজ আমলের পুলিশের মতো অত্যাচার চালানো হচ্ছে।’

যদিও তৃণমূলের(TMC) পালটা দাবি, পানিহাটিতে (Panihati) শাসক দলের একটি সভায় অস্ত্র-সহ বিজেপি যুব নেতা বুলেট রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূলের সভায় ঢুকে ওই বিজেপি নেতা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিলেন। তাই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। আর সেই নেতাকে ছাড়াতেই বিজেপি কর্মীরা থানায় তাণ্ডব দেখায়। বিজেপির যুব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে, এই দাবিতে পথ অবরোধ থেকে শুরু করে থানায় বিক্ষোভও দেখানো হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে বেশ ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তোলা হয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিটি রোড। যদিও পুলিশ লাঠিচার্জ করতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।

এদিকে, দিন দুই আগে ওই জেলারই নৈহাটিতে তৃণমূলের এক যুবনেতাকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি অবশ্য গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে।

রবিবার রাতের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিদিনকার মতো রবিবার রাতে নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি ও নৈহাটির পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সনৎ দে পার্টি অফিসে দলীয় কাজকর্ম সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন। সনতের দাবি, তাঁর ৬ নম্বর বিজয়নগরের বাড়িতে ঢোকার মুখে আচমকাই চার জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। পরপর দু-রাউন্ড গুলি ছোড়া হলেও সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলি ছুড়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সনৎ বলেন, ‘ওই দুষ্কৃতীদলে এলাকারই বাসিন্দা বিজেপি কর্মী তন্ময় ঘোষ ছিল। আমার সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাদের ধাওয়া করায় ওরা পালিয়ে যায়।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Khardaha

আরো দেখুন