রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কাঁথিতে তৃণমূলের সভা ঘিরে বিপুল উচ্ছ্বাস

December 24, 2020 | 2 min read

কাঁথি শহরে তৃণমূলের সভা ঘিরে উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনায় ভাসলেন কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার বিকেলে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সংসদ সদস্য সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে কাঁথি শহরে ক্যানেল পাড় থেকে ডরমেটরি মাঠ পর্যন্ত র‌্যালি হয়। পরে সভা হয়। সেই সভায় ভিড় উপচে পড়ে। ভরা সভায় ‘জয় মা মাটি মানুষের জয়’ গান পরিবেশনের সময় দলীয় পতাকা হাতে কর্মীদের উদ্দাম নাচ কাঁথিতে এর আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি পুরনো দিনের কর্মীদের। মুষ্টিবদ্ধ হাতে পতাকাকে সঙ্গী করে কাঁথির তৃণমূল (AITC) কর্মীরা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা দলের ছিলেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন। এসব দেখে পুরমন্ত্রীও দাবি করলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৬টি আসনের মধ্যে ১৬টিই আমরা পাব।

গত ১৯ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম তৃণমূলের সভা ছিল। কাঁথি-১ ও ৩, দেশপ্রাণ, কাঁথি পুরসভা ও রামনগর এলাকা থেকে দলীয় কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। এদিন সভা দলীয় নেতৃত্বের কাছে একটা বড় পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন উদ্যোক্তারা। ভিড়ের চাপে শহরের ডরমেটরি মাঠ উপচে পড়ে। তিনদিকে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। আশেপাশে বাড়ির ছাদেও ছিল ভিড়। শীতের পড়ন্ত বিকেলে ধৈর্য ধরে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় দুই প্রধান বক্তার ভাষণ শোনেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা।

এদিন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, এই মেদিনীপুর স্বাধীনতা সংগ্রামের পুণ্যভূমি। ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম দিয়েছে এই মেদিনীপুর। আজ এখানে ক্ষমা চাইছি। এখান থেকে যে মানুষটি এতদিন আমাদের কাছে ছিলেন, তিনি পাল্টি খেলেন। সেজন্য ক্ষমতা চাইছি। আমরা সবাই কংগ্রেস করতাম। গান্ধীবাদ, সুভাষবাদ জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে বড় হয়েছি। কংগ্রেস সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দিচ্ছিল না বলে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল করি। কিন্তু, গান্ধীবাদ, সুভাষবাদকে ছাড়িনি। এত বছরের আদর্শ ত্যাগ কি ধান্দাবাদের জন্য, নাকি জেলে যাওয়ার ভয়ে? 

তিনি বলেন, ভগবান যা করেন, মঙ্গলের জন্যই করেন। আসার পথে কোলাঘাট পেরতেই দেখছি, জেলাজুড়ে মুক্ত বাতাস বইছে। সবাই আনন্দ করছে। পরিবেশটা যেন, আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। আর কোনও রাজার অধীনে প্রজা হয়ে থাকতে হবে না। 

সৌগতবাবু সভার ভিড় দেখে বলেন, কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। মুখ্যমন্ত্রীকেই অনুসরণ করে কাঁথি। আজকের সভা তারই প্রমাণ দিয়েছে। দীঘার সমুদ্র থেকে দুই কলসি জল তুলে নিলে কিছুই হয় না। তিনি বলেন, অমিত শাহ দিল্লিতে নিজের কাজ না করে হনুমানের মতো লাফাতে লাফাতে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। ২০০আসন পাবে বলে দাবি করছেন। দিবাস্বপ্ন দেখছেন। বিজেপি তিন অঙ্ক ছুঁতে পারবে না। মোদির কাজ হল ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা। তাই মহামারীর সময়েও অযোধ্যা মন্দিরের শিলান্যাস, তিন তালাক আইন পাস, লাভ জিহাদের মতো আইন চালু করছে ওরা। বিজেপি মানুষের পেট খালি রেখে ধর্ম বোঝাতে চায়। দেশে একমাত্র উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি সামনে থেকে লড়াই করছেন। সৌগতবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নন্দীগ্রামে না গেলে এখানকার জমি আন্দোলন দেশের ইতিহাসে জায়গা করে নিত না। তিনি নেতৃত্ব না দিলে লক্ষ্ণণ শেঠ, বুদ্ধদেববাবুদের সরানো যেত না। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#firhad hakim, #Sougata Roy

আরো দেখুন